ডাম্বুলায় কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে তামিম-সাকিবদের

ব্যাটসম্যানদের বধ্যভূমি হিসেবে বেশ সুনাম আছে ডাম্বুলার। কারণ প্রথম ইনিংসে এই ভেন্যুর গড় স্কোর ২১০। দ্বিতীয় ইনিংসে সেটা আরো কম, মাত্র ১৭৮।
ডাম্বুলার পেস সহায়ক উইকেটে ২১ ম্যাচে এখানে ৪২ উইকেট নিয়েছেন মুরালিধরন। এরপর তালিকায় অবশ্য আর স্পিনারের নাম নেই। পারভেজ মাহরুফ এখানে ১২ ম্যাচে নিয়েছেন ২৩ উইকেট। লাসিথ মালিঙ্গা, জহির খান, আশীষ নেহরা, নুয়ান কুলাসেকারা, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের মতো বোলাররা এখানে ব্যাটসম্যানদের ওপর ছড়ি ঘুরিয়েছেন।
ব্যাটসম্যান হিসেবে এখানে সফলদের মধ্যে রয়েছেন মাহেলা জয়াবর্ধনে, কুমার সাঙ্গাকারা ও তিলকরত্নে দিলশান। জয়াবর্ধনে ৩৫ ম্যাচ খেলে করেছেন ১১৪৮ রান। ৯৮৩ রান নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন সাঙ্গাকারা।
ডাম্বুলায় শ্রীলঙ্কার রেকর্ডটা মোটামুটি ভালোই। ২৫টি ম্যাচে এখানে জিতেছে স্বাগতিকরা, হেরেছে ২২টিতে। এ পর্যন্ত খেলা ৪৮টি ওয়ানডেতে প্রথমে ব্যাটিং করা দল জিতেছে ২১ বার আর ২৬ ম্যাচে পরে ব্যাটিং করা দল এখানে জিতেছে।
প্রথমে ব্যাটিং করে সর্বপ্রথমে ব্যাটিং করে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটা পাকিস্তানের। ২০১০ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩৮৫ রান করেছিল পাকিস্তান। সেই ম্যাচে মাত্র ৬০ বলে ১২৪ রান করেন শহীদ আফ্রিদি। দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ ২৮৯ রান করেছে শ্রীলঙ্কা। ডাম্বুলায় খেলা অপর ম্যাচে বাংলাদেশের রেকর্ডটা ভালো নয়। ২০১০ সালে এশিয়া কাপে ভারতের কাছে মাত্র ১৬৭ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।
প্রথম ওয়ানডের জন্য ডাম্বুলার উইকেটে পেসারদের জন্য সহায়তা থাকছে। যেটি মুস্তাফিজ-তাসকিনদের জন্য সুখবর হলেও তামিম-সাকিবদের জন্য কিছুটা অস্বস্তিকর। তবে টেস্ট সিরিজে শ্রীলঙ্কা পেসাররা বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ওপর খুব বেশি প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি।
এখন দেখা যাক, প্রথম ম্যাচে কতটা কী করতে পারে বাংলাদেশ!