উইন্ডিজদের বিপক্ষে শনিবার মাঠে নামছে বাংলাদেশ

এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ওয়ানডে ক্রিকেটে ব্যর্থতা চলছে বাংলাদেশের। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজে ব্যর্থতার চূড়ান্ত রূপ দিয়েছেন ব্যাটাররা। দেশে ফিরেছে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা নিয়ে। সেই ব্যর্থতা থেকে বের হওয়ার লক্ষ্য এবার টাইগারদের সামনে। ঘরের মাঠে প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে শনিবার (১৭ অক্টোবর) মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে দুই দল। ম্যাচটি শুরু হবে দুপুর দেড়টায়। খেলা দেখা যাবে টি-স্পোর্টসে। আর অনলাইনে ট্যাপম্যাড অ্যাপে।
ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটের মধ্যে ওয়ানডে ফরম্যাটটাই প্রিয় ছিল বাংলাদেশের। অন্য দুই ফরম্যাটে যেমন-তেমন হলেও ওয়ানডেতে যেকোনো দলের জন্যই কঠিন প্রতিপক্ষ ছিল বাংলাদেশ, কিন্তু সেসব যেন গত হয়েছে। ওয়ানডে ক্রিকেটে এখন জিততেই ভুলে গেছে বাংলাদেশ। সর্বশেষ চারটি ওয়ানডে সিরিজের সবগুলোতেই হেরেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচেই ব্যর্থতার চূড়ান্ত রূপ দিয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটাররা। শেষ দুই ম্যাচেই নির্ধারিত ৫০ ওভার খেলতে পারেনি বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচে মোটে একজন ব্যাটার দুই অঙ্কের ঘর ছুঁতে পেরেছিলেন। সেই ব্যর্থতা থেকে বের হয়ে আসার লক্ষ্য বাংলাদেশের সামনে। বিশেষ করে বিশ্বকাপে সরাসরি কোয়ালিফাই করার জন্য এ সিরিজে জয়ের বিকল্প নেই মেহেদী হাসান মিরাজের দলের সামনে।
মুখোমুখি পরিসংখ্যানে খুব বেশি পার্থক্য নেই দুই দলের মাঝে। এখন পর্যন্ত ওয়ানডেতে ৪৭টি ম্যাচে মাঠে নেমেছে দুই দল। এর মধ্যে বাংলাদেশ জিতেছে ২১টি ম্যাচ। বিপরীতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয় ২৪টি ম্যাচে আর ২টি ম্যাচ ড্র হয়েছে।
টানা ব্যর্থতার মধ্যে থাকা বাংলাদেশের জন্য ঘুরে দাঁড়ানো মোটেও সহজ হওয়ার কথা নয়। কারণ, গত কয়েক ম্যাচে ব্যাটিংয়ের সঙ্গে মানসিক দুর্বলতাও দেখা গেছে ব্যাটারদের মধ্যে। তবে খেলাটা মিরপুরে বলেই হয়তো ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব বাংলাদেশের জন্য।
পরিসংখ্যান বলছে, সর্বশেষ পাঁচ বছরে মিরপুরে ছয়টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ, যেখানে শতভাগ জয় টাইগারদের। সর্বশেষ ২০২২ সালে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে ভারতকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছিল বাংলাদেশ।
তবে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াতে চাইলে ব্যাটারদের ছন্দে ফেলা ছাড়া কোনো উপায় নেই। কারণ বছর দুয়েক হলো নিয়মিত ভালো করে যাচ্ছেন বোলাররা। প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই প্রতিপক্ষকে অল্প রানে আটকে রাখছে। কিন্তু সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারছেন না ব্যাটাররা। বিশেষ করে, মিডল অর্ডার ব্যাটারদের রানে ফিরতে হবে। দায়িত্ব নিতে হবে তাওহিদ হৃদয়-মেহেদী হাসান মিরাজদের।