ইউএস ওপেনে পরাস্ত অ্যান্ডি মারে
তৃতীয় রাউন্ডে হার মেনেছিলেন রাফায়েল নাদাল। ইউএস ওপেনের পরের রাউন্ডে আরেক তারকা অ্যান্ডি মারেও ভূপাতিত! বছরের শেষ গ্র্যান্ড স্লাম টুর্নামেন্টে দক্ষিণ আফ্রিকার কেভিন অ্যান্ডারসনের কাছে হেরে গেছেন প্রতিযোগিতার তৃতীয় বাছাই। প্রায় সোয়া চার ঘণ্টা দীর্ঘ লড়াইয়ের ফল ৭-৬ (৭/৫), ৬-৩, ৬-৭ (২/৭), ৭-৬ (৭/০)।
মারে অঘটনের শিকার হলেও রজার ফেদেরার চতুর্থ রাউন্ডের বাধা এড়িয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছেন। রেকর্ড ১৭টি গ্র্যান্ড স্লাম চ্যাম্পিয়ন ফেদেরার ৭-৬ (৭/০), ৭-৬ (৮/৬), ৭-৫ গেমে যুক্তরাষ্ট্রের জন ইসনারকে হারিয়েছেন। শেষ আটে সুইস তারকার প্রতিপক্ষ ফ্রান্সের রিশা গ্যাসকে।
ফেদেরারের স্বদেশি স্টানিস্লাস ভাভরিঙ্কাও কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছেন। এবারের ফ্রেঞ্চ ওপেন চ্যাম্পিয়ন চতুর্থ রাউন্ডে ৬-৪, ১-৬, ৬-৩, ৬-৪ গেমে হারিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ডোনাল্ড ইয়াংকে। শেষ আটে ভাভরিঙ্কা খেলবেন মারেকে হারানো অ্যান্ডারসনের বিপক্ষে।
২০১২ সালে ইউএস ওপেনে চ্যাম্পিয়ন হয়েই দীর্ঘ ৭৬ বছর পর ব্রিটেনকে কোনো গ্র্যান্ড স্লামের পুরুষ এককের ট্রফি এনে দিয়েছিলেন মারে। প্রায় এক দশকের পেশাদার ক্যারিয়ারে মাত্র দুটো গ্র্যান্ড স্লাম জিতলেও (দ্বিতীয়টি ২০১৩ সালের উইম্বলডনে) তাঁর ধারাবাহিকতা ভালোই। ২০১১ সালের অস্ট্রেলিয়ান ওপেন থেকে টানা ১৮টি গ্র্যান্ড স্লামে অন্তত কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিলেন এই স্কটিশ। এবার নিউইয়র্কের ফ্লাশিং মেডোসে শেষ আটের লড়াইয়ের আগেই বিদায় নেওয়ায় মারে তাই ভীষণ হতাশ, ‘এভাবে হেরে যাওয়া আমার জন্য খুবই হতাশাজনক। এই ধারাবাহিকতা দীর্ঘদিনের কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমেই অর্জন করতে পেরেছি। হারটা মেনে নিতে তাই ভীষণ কষ্ট হচ্ছে। এই টুর্নামেন্টে আগেও কয়েকটি কঠিন ম্যাচ খেলেছি। চার ঘণ্টারও বেশি লড়াই করার পর হার মেনে নেওয়া আমার পক্ষে খুবই কঠিন।’