আমিরাতের বিপক্ষেই অভিষেক হয়েছিল মালিঙ্গার
২০১৪ সালে শ্রীলঙ্কা পঞ্চমবারের মতো এশিয়া কাপের শিরোপা জিতেছিল লাসিথ মালিঙ্গার নেতৃত্বে। এবার শিরোপা ধরে রাখার মিশনেও শ্রীলঙ্কাকে নেতৃত্বের ভার তুলে দেওয়া হয়েছে ডানহাতি এই পেসারের হাতে। বৃহস্পতিবার আরব আমিরাতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে এশিয়া কাপ জয়ের মিশন শুরু করতে যাচ্ছে লঙ্কানরা। মজার ব্যাপার হলো ২০০৪ সালে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে মালিঙ্গার অভিষেকও হয়েছিল আমিরাতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে।
২০০৪ সালে এশিয়া কাপের সেই ম্যাচেই প্রথমবারের মতো মুখোমুখি হয়েছিল শ্রীলঙ্কা ও আরব আমিরাত। অভিষেক ম্যাচে ১০ ওভার বল করে ৩৯ রানের বিনিময়ে একটি উইকেট নিয়েছিলেন মালিঙ্গা। শ্রীলঙ্কা পেয়েছিল ১১৬ রানের বড় জয়। ক্রিকেট বিশ্বে শ্রীলঙ্কা ও আরব আমিরাতের মুখোমুখি লড়াই দেখা গেছে আর মাত্র একবার। সেটিও ছিল এশিয়া কাপের ম্যাচ। ২০০৮ সালের সেই ম্যাচে আমিরাতকে আরো বড় ব্যবধানে হারিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। অজন্তা মেন্ডিসের দারুণ বোলিংয়ের সুবাদে লঙ্কানরা পেয়েছিল ১৪২ রানের জয়। এই ম্যাচে অবশ্য খেলেননি মালিঙ্গা।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অবশ্য এবারই প্রথমবারের মতো মুখোমুখি হতে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা ও আরব আমিরাত। বাছাইপর্বের তিনটি ম্যাচেই জয় দিয়ে দাপুটে ভঙ্গিতে এশিয়া কাপের মূল পর্বে পা রেখেছে আমিরাত। ভালো নৈপুণ্য দেখিয়ে নজর কেড়েছেন আমিরাতের দুই ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ শাহজাদ ও মোহাম্মদ উসমান। বল হাতে দারুণ করেছেন ডানহাতি পেসার মোহাম্মদ নাভিদ। বাছাইপর্বের তিন ম্যাচে নিয়েছেন সাতটি উইকেট।
অন্যদিকে শ্রীলঙ্কা মুখিয়ে আছে জয় দিয়ে এশিয়া কাপ শুরুর জন্য। ভারতের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারের পর জয়ের ধারাতেও দ্রুতই ফিরতে চাইবেন লঙ্কানরা। অধিনায়ক মালিঙ্গা পাশে পাচ্ছেন তিলকারত্নে দিলশান, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস, দিনেশ চান্দিমাল, রঙ্গনা হেরাথের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের। আরব আমিরাতের বিপক্ষে এশিয়া কাপের আগের দুই ম্যাচেও মাঠে ছিলেন তিলকারত্নে দিলশান।

স্পোর্টস ডেস্ক