আজ মিরপুরে আবার শ্রীলঙ্কা-বধ?
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এখনো শ্রীলঙ্কাকে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে ওয়ানডেতে হারিয়েছে চারবার, যার দুটোই মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে। এর মধ্যে একটি জয় এসেছিল চার বছর আগের এশিয়া কাপে। আজ রোববার সেই মিরপুরেই আরেকটি এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কা-বধের আনন্দে মেতে উঠতে পারবে লাল-সবুজের দল?
২০১২ সালের এশিয়া কাপ আনন্দ আর হতাশার এক অদ্ভুত অনুভূতিতে আজো আচ্ছন্ন করে রেখেছে বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের। পুরো টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত খেলে, ভারত আর শ্রীলঙ্কার মতো দুই পরাশক্তিকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ। তবে শেষ হাসি হাসতে পারেনি। ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে মাত্র দুই রানে হেরে যাওয়ার দুঃখ এখনো তাড়িয়ে বেড়ায় বাংলাদেশের ক্রিকেটাঙ্গনকে।
তবে সেই টুর্নামেন্টের প্রাপ্তিও কম নয়। ১৬ মার্চ শচীন টেন্ডুলকারের শততম আন্তর্জাতিক শতকের আনন্দ ম্লান করে ভারতকে পাঁচ উইকেটে হারিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। তার চার দিন পর বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের ফলও ছিল একই, স্বাগতিকদের পাঁচ উইকেটের মধুর জয়।
সেদিন টস জিতে প্রতিপক্ষকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। বাংলাদেশের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে তেমন বড় সংগ্রহ গড়তে পারেনি শ্রীলঙ্কানরা, অলআউট হয়ে গিয়েছিল ২৩২ রানে। ৩২ রানে তিন উইকেট নিয়েছিলেন পেসার নাজমুল হোসেন। বাঁহাতি স্পিনে দুটি করে উইকেট পেয়েছিলেন সাকিব আল হাসান ও আবদুর রাজ্জাক।
শ্রীলঙ্কার ইনিংস শেষে বৃষ্টি নামলে বাংলাদেশ নির্ধারিত সময়ে ব্যাট করতে নামতে পারেনি। বৃষ্টি শেষে খেলা শুরু হলে ডাকওয়ার্থ/লুইস পদ্ধতিতে ৪০ ওভারে লক্ষ্য দাঁড়ায় ২১২ রান। তামিম ইকবাল (৫৯) ও সাকিবের (৫৬) ফিফটির পর নাসির হোসেন (অপরাজিত ৩৬) ও মাহমুদউল্লাহর (অপরাজিত ৩২) দায়িত্বশীল ব্যাটিং ১৭ বল হাতে রেখে সহজেই লক্ষ্যে পৌঁছে দিয়েছিল বাংলাদেশকে। দুর্দান্ত অলরাউন্ড পারফরম্যান্স সাকিবকে এনে দিয়েছিল ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার।
পরের বছর শ্রীলঙ্কার মাটিতে শ্রীলঙ্কানদের আবার হারিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে সেটা ওয়ানডেতে। টি-টোয়েন্টিতে এখনো শ্রীলঙ্কা-বধের আনন্দে মেতে উঠতে পারেননি মাশরাফি-সাকিব-মুশফিকরা। আজ সেই অপূর্ণতা কি ঘুচবে?