হারলেও ফাইনালের সুযোগ থাকবে বাংলাদেশের
পাঁচ দলের রবিন রাউন্ড লিগ পদ্ধতির লড়াই। গ্রুপের শীর্ষ দুই দল খেলবে শিরোপা জয়ের অন্তিম লড়াইয়ে। এশিয়া কাপের ফাইনালে ওঠার হিসাব-নিকাশ মাঝেমধ্যে বেশ জটিলই হয়ে ওঠে। তবে বাংলাদেশের জন্য এখন পর্যন্ত সমীকরণটা খুবই সহজ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দারুণ জয়ের পর আজ পাকিস্তানকে হারালেই ফাইনালের টিকেট পেয়ে যাবে মাশরাফি বাহিনী। হেরে গেলেও ফাইনাল খেলার সুযোগটা শেষ হয়ে যাবে না। তবে সে ক্ষেত্রে বসতে হবে অনেক জটিল হিসাব-নিকাশ নিয়ে।
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের প্রথম এশিয়া কাপে টানা তিনটি জয় দিয়ে সবার আগে ফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলেছে ভারত। টানা তিনটি ম্যাচ হেরে বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে বাছাইপর্ব পেরিয়ে মূল পর্বে আসা আরব আমিরাতের। ফাইনালে যাওয়ার স্বপ্ন আছে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার সামনে। গতবারের শিরোপাজয়ী শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ফাইনালের পথে অনেকখানি এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচ শেষে চার পয়েন্ট নিয়ে ভারতের পরেই দ্বিতীয় স্থানে আছে লাল-সবুজের দল। আজ পাকিস্তানের বিপক্ষে জিতলেই সব হিসাব-নিকাশের অবসান ঘটিয়ে ফাইনালে পা রাখবেন মাশরাফিরা। কপাল পুড়বে শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের। তখন গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি লড়াইয়ে শুধু সৌজন্য রক্ষার জন্যই মাঠে নামতে হবে ম্যাথিউস-আফ্রিদিদের।
অন্যদিকে আজ পাকিস্তানের বিপক্ষে হেরে গেলেও ফাইনালে খেলার আশা ফুরিয়ে যাবে না বাংলাদেশের।
সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়াবে চার ম্যাচে ৪ পয়েন্ট। তিন ম্যাচ খেলে পাকিস্তানের ঘরেও জমা হবে ৪ পয়েন্ট। তিন ম্যাচ শেষে ২ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে থাকবে শ্রীলঙ্কা।
এ পরিস্থিতিতে মহাগুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার লড়াই। তখন বাংলাদেশের ফাইনালে যাওয়ার প্রথম শর্ত দাঁড়াবে ৪ মার্চের ম্যাচে পাকিস্তানকে হারতে হবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। তাহলে চার ম্যাচ শেষে সবার ঘরেই জমা হবে ৪ পয়েন্ট। তখন দেখা হবে রানরেট। এখন পর্যন্ত রানরেটে বাংলাদেশই এগিয়ে আছে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার চেয়ে।
তবে মাশরাফি-সাকিবদের যেন এত জটিলতার মধ্যে যেতে না হয়, এমন প্রার্থনাই করছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা।