আরেকটি রেকর্ডের সামনে সাকিব
একদিন আগেও তিনি আলোচনায় ছিলেন চোট নিয়ে। বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডারের উরুর সেই চোট নিয়ে খুব একটা সংশয় নেই, তা জানিয়েও দিয়েছে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট। এশিয়া কাপের ফাইনালের ঠিক আগেও তিনি আবার আলোচনায়, টি-টোয়েন্টিতে নতুন একটি রেকর্ডের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন এই তারকা ক্রিকেটার।
আজ ভারতের বিপক্ষে ফাইনালে আর ৪৭ রান করতে পারলেই টি-টোয়েন্টিতে ১০০০ রান পূর্ণ করতে পারবেন তিনি। ৪৬ ম্যাচ খেলে টি-টোয়েন্টিতে তাঁর রান এখন ৯৫৩। যাতে রয়েছে পাঁচটি অর্ধশতক। অবশ্য কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশের আর কোনো ব্যাটসম্যানের এই সংগ্রহ নেই।
এ ছাড়া সাকিব এরই মধ্যে ৫০টিরও বেশি উইকেট নিয়েছেন। টি-টোয়েন্টিতে বল হাতে তাঁর সংগ্রহ এখন ৫৫ উইকেট।
টি-টোয়েন্টিতে এর আগে ১০০০ রান ও ৫০ উইকেট নিতে পেরেছেন একজন ক্রিকেটারই, পাকিস্তান অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি। এই পাকিস্তানি ক্রিকেটার ৯৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে ১৩১৫ রান করেছেন এবং উইকেট নিয়েছেন ৯৩টি।
সাকিব যদি আজ ব্যাট হাতে সাফল্য পান বা যদি একটি অর্ধশতক করতে পারেন, তাহলে তিনি হবেন ইতিহাস গড়া দ্বিতীয় ক্রিকেটার, যিনি এক হাজার রান ও ৫০টি উইকেট নিতে পেরেছেন।
অবশ্য সময় খুব একটা ভালো যাচ্ছে না সাকিবের। বিশেষ করে এশিয়া কাপেও খুব একটা সাফল্য পাচ্ছেন না না তিনি। পাকিস্তানের বিপক্ষে আগের ম্যাচে তিনি ব্যাট হাতে ১৩ বল খেলে মাত্র আট রান করেছেন। আর চার ওভার বল করে ২৬ রান দিয়েও কোনো উইকেট নিতে পারেননি।
এর আগে এশিয়া কাপের প্রথম দুই ম্যাচে সাকিব খুব একটা সাফল্য পাননি। ভারতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে করেছেন তিন রান আর বল হাতে এক উইকেট। আর আরব আমিরাতের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটিংয়ে ১৩ রান এবং বোলিংয়ে দুই উইকেট পান তিনি। অবশ্য শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তৃতীয় ম্যাচে ব্যাট হাতে ৩২ রান ও বল হাতে ২১ রান দিয়ে দুই উইকেট ফর্মে ফেরার আভাস দিলেও পরের ম্যাচে হয়েছেন একেবারেই ব্যর্থ।
গত বছরের শেষ দিকে বিপিএল, এ বছরের শুরুতে জিম্বাবুয়ে সিরিজ আর সদ্য-সমাপ্ত পিএসএলে তেমন ভালো খেলতে পারেননি। গত নভেম্বর-ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত বিপিএলের তৃতীয় আসরে রংপুর রাইডার্সের অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন সাকিব। বাংলাদেশের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতায় বল হাতে ভালো করলেও ব্যাটিংয়ে তেমন সুবিধা করতে পারেননি। ১১ ম্যাচে ১৮ উইকেট নেওয়া সাকিবের ব্যাট থেকে এসেছিল মাত্র ১৩৬ রান।
গত জানুয়ারিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও দেশের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট তারকার কাছ থেকে প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স পায়নি বাংলাদেশ। চার ম্যাচে সব মিলিয়ে ৫৪ রান করা সাকিব কোনো রকমে পাঁচ উইকেট নিতে পেরেছিলেন। তবে বোলিং গড় (২৭.৬) আর ইকোনমি রেট (৮.৬২) দুটিই ছিল তাঁর মানের বোলারের তুলনায় বেমানান।

ক্রীড়া প্রতিবেদক