রামোসের মাথাটা কি বাঁধিয়ে রাখবে রিয়াল!
২০০৫ সালে মাত্র ১৯ বছর বয়সে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দিয়েছিলেন সার্জিও রামোস। তার পর থেকে আর একবারও ক্লাব বদল করেননি। অবসরে যাওয়ার সময় নিশ্চিতভাবেই ক্লাব কিংবদন্তির কাতারে নাম উঠবে স্প্যানিশ এই ডিফেন্ডারের। অধিনায়ক রামোসের মাথাটার কথাই তো বিশেষভাবে লেখা থাকবে রিয়াল মাদ্রিদের ইতিহাসে। ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে দুর্দান্ত সব হেড থেকে গোল করে নিজের মাথাটাকে যে রীতিমতো দুর্মূল্য করে তুলছেন রামোস।
কয়েক দিন আগেই ইউরোপিয়ান ফুটবলের অন্যতম সেরা দ্বৈরথ ‘এল ক্লাসিকো’তে ফুটবল বিশ্ব দেখেছিল রামোসের শেষমুহূর্তের জাদু। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার বিপক্ষে শেষ বাঁশি বাজার কয়েক মুহূর্ত আগে হেড থেকে গোল করে ম্যাচে সমতা ফিরিয়েছিলেন রামোস। হারের লজ্জা এড়িয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ।
শনিবার লা লিগায় আরো একবার রামোস দলকে উদ্ধার করেছেন শেষমুহূর্তে গোল করে। দেপোর্তিভো লা করুনার বিপক্ষে নির্ধারিত ৯০ মিনিট পর্যন্ত ম্যাচে ছিল ২-২ গোলের সমতা। পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছাড়তে হবে, এমনটাই হয়তো ধরে নিয়েছিলেন দুই দলের সমর্থকরা। কিন্তু আবারও শেষ মুহূর্তে ম্যাচের চিত্র পাল্টে দিয়েছেন রামোস। এবারও গোল করেছেন হেড থেকে। ৩-২ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে রিয়াল।
শুধু লা লিগায় নয়, চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল, উয়েফা সুপার কাপের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেও শেষমুহূর্তে গোল করে দলকে স্মরণীয় সব জয় এনে দিয়েছেন রামোস। ২০১৪ সালের চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে ১-০ গোলে পিছিয়ে ছিল রিয়াল। ৯০ মিনিট পর্যন্ত পিছিয়ে থাকার পর শিরোপা জয়ের আশা হয়তো ছেড়েই দিয়েছিলেন রিয়াল সমর্থকরা। কিন্তু যোগ করা অতিরিক্ত সময়ে হেড থেকে গোল করে ম্যাচে সমতা ফিরিয়েছিলেন রামোস। রিয়াল শেষপর্যন্ত ম্যাচটি জিতেছিল ৪-১ গোলে।
সেভিয়ার বিপক্ষে এ বছরের উয়েফা সুপার কাপেও দেখা গিয়েছিল রামোসের শেষমুহূর্তের হেড। এবারও ৯০ মিনিট পর্যন্ত রিয়াল পিছিয়ে ছিল ২-১ গোলে। শেষ বাঁশি বাজার কয়েক মুহূর্ত আগে রামোস করেছিলেন সমতা ফেরানো গোল। রিয়ালও শেষপর্যন্ত ম্যাচটি জিতেছিল ৩-২ গোলে।
ভবিষ্যতে হয়তো ম্যাচের শেষমুহূর্তে রামোসের দিকে বিশেষভাবেই নজর দিতে হবে প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারদের।

স্পোর্টস ডেস্ক