নাটকীয় সেই দুই ঘণ্টার ব্যাখ্যা দিলেন সাগরিকা
সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল ছিল রোমাঞ্চ ও নাটকীয়তায় ঠাসা। রীতিমতো অদ্ভুতুড়ে এক ম্যাচের দেখা মিলল কমলাপুর স্টেডিয়ামের ফাইনালে। টাইব্রেকার নামক স্নায়ু পরীক্ষায় ১১টি শটেও ফল নির্ধারণ হয়নি। হঠাৎ বন্ধ করা হয় সাডেন ডেথ। টসের মাধ্যমে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয় ভারতকে। তারপর অবশ্য দ্রুতই সিদ্ধান্ত বদলায় ম্যাচ সংশ্লিষ্টরা। প্রায় দুঘণ্টা পর বাংলাদেশ ও ভারতকে যৌথ চ্যাম্পিয়ন বানানো হয়।
ম্যাচ শেষের পর ওই সময়টা উৎকণ্ঠায় কেটেছে সবার। কী হয় শেষ পর্যন্ত, তা জানতে উদগ্রীব ছিল ভক্ত থেকে শুরু করে ফুটবলাররা। ওই সময়টাতে কী ভাবছিলেন দলের ফুটবলার সাগরিকা, এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন সেটি। সাগরিকা জানান, এত কষ্টের পর হেরে গেলে কষ্ট লাগত। সময়টা বেশ চিন্তার মধ্যে কেটেছে।
এ ম্যাচ টাইব্রেকার পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার পেছনে অবদান ছিল সাগরিকারও। পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশকে শেষ মুহূর্তে সমতায় ফেরান সাগরিকা। সেই সাগরিকা ফলাফল ঘোষণার আগ মুহূর্ত নিয়ে বলেন, ‘ওই সময়টাতে অনেক খারাপ লাগছিল। একটা গোল করেছি, শেষের গোলটার পর অনেক ভালো লেগেছে। হেরে যেতে যেতেও গোল পেয়েছি, ম্যাচটা হারলে অনেক কষ্ট লাগত। খুব সকালে প্র্যাকটিস করে আবার বিকালে ম্যাচ খেলা, হেরে গেলে খুব কষ্ট হতো। এখন খুশি লাগছে।’