চাপে পাকিস্তান, স্বস্তি নিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতিতে বাংলাদেশ
বিদেশের মাটিতে বড় দলগুলোর বিপক্ষে সেভাবে টেস্ট জয়ের স্মৃতি নেই বাংলাদেশের। নাজমুল হোসেন শান্তর দলের সামনে সেই পরিসংখ্যান পাল্টানোর সুযোগ। প্রথম টেস্টের পর রাওয়ালপিন্ডিতে দ্বিতীয় টেস্টেও পাকিস্তানকে চেপে ধরেছে বোলাররা। চতুর্থ দিনে লাঞ্চের আগ পর্যন্ত ৩০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তানের সংগ্রহ ১১৭ রান। ক্রিজে আছেন দুই ব্যাটার আগা সালমান ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। লিড বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২৯ রানা।
আজ সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) চতুর্থ দিনের শুরুটা কিছুটা দেখেশুনেই করে পাকিস্তান। তবে, সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেনি দলটি। দলীয় ৪৭ রানের মাথায় তৃতীয় উইকেট হারায় পাকিস্তান। তাসকিনের বলটা ফুল লেংথে পিচ করে অফ স্টাম্প দিয়ে বেরিয়ে যেত। কিন্তু আক্রমণাত্মক মেজাজে থাকা সাইম ড্রাইভ করলেও তা মিড অফে থাকা অধিনায়ক শান্তর কাছে যায়। ক্যাচ লুফে নিতে ভুল করেননি তিনি। ৩৫ বলে ২০ রান করেন আইয়ুব।
আইয়ুবের বিদায়ের পর অধিনায়ক শান মাসুদও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। নাহিদ রানার শর্ট পিচের বলটা ওয়াইড লেংথে পরে বেরিয়ে যাচ্ছিল। মাসুদ স্কয়ার কাট করার চেষ্টায় ব্যর্থ হন। বল তার ব্যাটে লেগে জমা হয় লিটনের গ্লাভসে। ৩৪ বলে ২৮ রান আসে এই বাঁহাতি ব্যাটারের ব্যাট থেকে। এরপর অভিজ্ঞ বাবর আজমকেও ফেরান তরুণ এই পেসার। রানার বাউন্সে স্লিপে থাকা সাদমানের কাছে ক্যাচ দেন বাবর। সবমিলিয়ে দলীয় ৬৫ রানে পঞ্চম উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে পাকিস্তান। ১৮ বলে ১১ রান আসে বাবরের ব্যাট থেকে।
পরপর দুই বলে উইকেট নেওয়ার সুযোগ ছিল নাহিদ রানার সামনে। কিন্তু পারলেন না সাদমান ইসলামের ব্যর্থতায়। আগের বলে বাবরের ক্যাচ পেয়েছিলেন বুকের ওপর, নিয়েছিলেন সহজেই। এবার বাঁ দিকে সরতে হয়েছে, তাতেই শরীরের ভারসাম্য রাখতে পারেননি। যার ফলে প্রথম বলেই জীবন পেয়ে যান রিজওয়ান।
এরপর দলীয় ৮১ রানের মাথায় নিজের তৃতীয় ও দলের ষষ্ঠ উইকেট তোলেন নাহিদ। রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে আসা নাহিদের বলটার গতি ও লাইন ধরতে পারেননি শাকিল। খোঁচা মেরে উইকেটের পেছনে লিটনকে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান প্যাভিলিয়নে। ১০ বলে মাত্র ২ রান আসে তার ব্যাট থেকে।