হাথুরুসিংহের অসদাচরণের বিষয়ে জানেন না শান্ত
ক্রিকেটারের সঙ্গে অসদাচরণ ও চাকরির নিয়ম ভাঙার অভিযোগ এনে সদ্য সাবেক হওয়া প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে সাসপেন্ড করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ৪৮ ঘণ্টা শাস্তির পর করা হয় বরখাস্ত। এমন ঘটনার পর গত কদিন ধরেই আলোচনায় হাথুরুসিংহের ইস্যু। লঙ্কান কোচ নিজেও বিবৃতি দিয়ে নিজের অবস্থান পরিস্কার করেছেন। এবার তার বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ নিয়ে মুখ খুললেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের আগের দিনও ঘুরেফিরে আসল সেই প্রসঙ্গ। দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর কাছে জানতে চাওয়া হয়, ওয়ানডে বিশ্বকাপে সত্যিই এমন ঘটনা হাথুরুসিংহে ঘটিয়েছিলেন কি না। তবে এর উত্তরে অবাক করেছেন অধিনায়ক। তিনি জানালেন, ক্রিকেটারকে বিশ্বকাপে লাঞ্ছিত করার ঘটনা জানেনই তিনি। আজ রোববার (২০ অক্টোবর) ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে শান্ত এক কথায় উত্তর দিয়ে বলেছেন, 'আমি আসলে এই ব্যাপারে কিছু জানিই না। সত্যি বলছি।'
এদিকে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গেই নতুন কোচ নিয়োগ দিয়েছে বিসিবি। দক্ষিণ আফ্রিকার সিরিজের আগে ফিল সিমন্সকে নিয়োগ দিয়েছে ক্রিকেট বোর্ড। বাংলাদেশ দলের সঙ্গে তার প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ। নতুন কোচের সম্পর্কে অধিনায়ক বলেছেন, 'এই কোচ যেহেতু নতুন এসেছেন। তিনি খুব বেশি পরিকল্পনা দেননি। তিনি সবকিছু বোঝার চেষ্টা করছেন। ক্রিকেটাররা নিজেরা নিজেদের দায়িত্বটাও বোঝেন। আমিও আমার পরিকল্পনাগুলো শেয়ার করেছি। কোচের ভালো লেগেছে। আশাকরি ভালো কিছু হবে। তাছাড়া যেদিন উনি এসেছেন সেদিম এসেই দলের সাথে যোগ দিয়েছেন। সব ক্রিকেটারের সাথে দেখা করেছেন। এখন পর্যন্ত ভালো লেগেছে। তবে একেবারে তো বোঝা যায় না। খেলা শুরু হবে। তখন আস্তে আস্তে বোঝা যাবে। ক্রিকেটাররাও বুঝবেন উনাকে আশাকরি।'
মূলত, সিনিয়র ক্রিকেটারদের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি এবং অনেক ক্রিকেটারের সঙ্গে খারাপ আচরণ করার অভিযোগ আছে হাথুরুর বিরুদ্ধে। তবে এতকিছুর পরও দলের বেশ কয়েকটি সাফল্যের কারণে হাথুরুর দোষ চাপা পড়ে গিয়েছিল। বিশেষ করে ২০২৩ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে বিশ্বকাপে হাথুরুর বিরুদ্ধে নাসুমকে চড় মারার অভিযোগ ওঠে। পরে এটাকে অস্বীকার করেন তখনকার বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এবং হাথুরু স্বয়ং। একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হলেও কোনো ফলাফল আসেনি।
এবার সেই ঘটনা পুনঃতদন্ত করে সত্যতা খুঁজে পান বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘একজন জাতীয় দলের খেলোয়াড়কে আপনি কখনোই শারীরিকভাবে আঘাত করতে পারেন না। এটার শাস্তি সেটাই, যেটা এখন হচ্ছে।’