বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা টেস্ট
শান্ত-মুশফিকের ব্যাটে লড়াই জমিয়ে তুলেছে বাংলাদেশ

দিনের প্রথম সেশনে সেই পুরোনো রোগেই ভুগলো বাংলাদেশ। উইকেট হারিয়ে বিপর্যয় ডেকে আনলো টপঅর্ডার ব্যাটাররা। তবে ঘুরে দাঁড়াতে সময় নেয়নি বাংলাদেশ। দক্ষ নাবিকের মতো দলের হাল ধরেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত আর মুশফিকুর রহিম। দুজনেই তুলে নিয়েছেন হাফসেঞ্চুরি। তাদের দৃঢ়তায় দ্বিতীয় সেশনে লঙ্কানদের শাসন করেছে বাংলাদেশ। গলে জমিয়ে তুলেছে লড়াই।
গলে আজ মঙ্গলবার (১৭ জুন) প্রথম টেস্টে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে চা বিরতির আগ পর্যন্ত ৩ উইকেট হারিয়ে ১৮২ রান তুলেছে বাংলাদেশ। ৭০ রানে অপরাজিত আছেন শান্ত। আর ৬৬ রানে মুশফিক।
৩ উইকেট হারিয়ে ৯০ রান নিয়ে দ্বিতীয় সেশনের খেলা শুরু করেন শান্ত আর মুশফিক। এই সেশনের পুরোটা সময় লঙ্কান বোলারদের শাসন করেছেন বাংলাদেশের এ দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার। কোনো সুযোগই দেননি স্বাগতিকদের।
রত্নায়েকে-ফার্নান্দোদের আফসোস বাড়িয়ে গড়ে তুলেছেন ১৩৭ রানের জুটি। পুরো সেশন কাটিয়ে দিয়েছেন কোনো উইকেট না হারিয়েই। এই সেশনেই এসেছে জোড়া হাফসেঞ্চুরিও। শান্ত তুলে নিয়েছেন তার টেস্ট ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ হাফসেঞ্চুরি। মুশফিকের এটি ২৮তম হাফসেঞ্চুরি।
দুজনেই এখন এগিয়ে চলছে সেঞ্চুরির পথে। ১৪৩ বলে ৭০ রানে অপরাজিত শান্ত। তার ইনিংসটি সাজানো এক ছক্কা আর ৪ চারে। অন্যদিকে, ১১১ বলে মুশফিক অপরাজিত ৬৬ রানে। মুশফিকের ইনিংস সাজানো ৪ চারে।
এর আগে জল্পনা-কল্পনা শেষে এ ম্যাচেও ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে নামেন এনামুল হক বিজয় আর সাদমান ইসলাম। ১০ বলে কোনো রান না করেই ফিরে যান ওপেনার বিজয়। ভাঙে ৫ রানের ওপেনিং জুটি।
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দলকে সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন সাদমান ইসলাম আর মুমিনুল হক। দুজন মিলে গড়েন ৩৪ রানের জুটি। কিন্তু ভালো শুরুর পরও উইকেট দিয়ে ফিরেন ওপেনার সাদমান ইসলাম। ফেরার আগে ১ চারে ৫৩ বলে ১৪ রান করেন তিনি। সাদমানকে ফিরিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম উইকেট তুলে নেন রত্নায়াক।
মুমিনুল হক কিছুটা ওয়ানডে মেজাজের ব্যাট করছিলেন। তিনিও শুরুটা করেন দুর্দান্ত। কিন্তু সেই ইনিংসকে টেনে নিয়ে যেতে পারেননি। ৪ চারে ৩৩ বলে করেন ২৯ রান। রাত্নায়াকের বলে ক্যাচ দেন ধনাঞ্জায়াকে।
এতে বিপর্যয়ে পড়ে যায় বাংলাদেশ। চতুর্থ উইকেট জুটিতে সেই বিপর্যয় সামাল দেন মুশফিক আর শান্ত। কোনো উইকেট না হারিয়েই প্রথম সেশনের বাকি সময় পার করে দেন তারা।