ভারত ও পাকিস্তানের একাদশে থাকতে পারেন যারা

এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তানের রোমাঞ্চকর লড়াইটা মাঠে গড়াচ্ছে আজ রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর)। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশের রাজনৈতিক বৈরিতার কারণে ম্যাচটিকে ঘিরে ছিল অনিশ্চয়তা। সেটি যেহেতু কেটে গেছে, তাই এবার মাঠের লড়াইয়েই মন সবার। এবার লড়াইটা পুরনো গল্পে নতুন মোড়। সময় বদলেছে, গল্পেও এসেছে নতুন অধ্যায়।
পুরনো তারকারা নেই—কোহলি, রোহিত, বাবর, রিজওয়ান সবাই এবার দর্শক। রোহিত-কোহলি অবসর নিয়েছেন ভারতীয় দল থেকে। আর বাবর-রিজওয়ানের জায়গা হয়নি তরুণদের এই দলে। তাদের জায়গা নিচ্ছেন নতুনরা—অভিষেক শর্মা, সাইম আইয়ুব, সালমান আগা, শুভমান গিলরা।
আজ রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভারতের মুখোমুখি হবে পাকিস্তান। খেলাটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময রাত সাড়ে ৮ টায়।
টপ অর্ডারে ভারতের ওপেনিংয়ে দেখা যাবে অভিষেক শর্মা ও শুভমান গিলকে। বহুদিন পর টি-টোয়েন্টি সংস্করণে ফিরছেন গিল। ওয়ান ডাউনে দেখা যেতে পারে উইকেটরক্ষক ব্যাটার সাঞ্জু স্যামসনকে।
ভারতীয় দলের অধিনাযক সূর্যকূমারকে দেখা যাবে চারে। কিন্তু পাকিস্তানের বিপক্ষে তার ফর্মটা খুব ভালো নয়। পাকিস্তানের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচে কখনোই ২০ রান ছুঁতে পারেননি সূর্যকুমার যাদব।
মিডল অর্ডারে ভারতের সব মারকুটে ব্যাটার এবং অলরাউন্ডারদেরই পছন্দ কোচ গৌতম গম্ভীরের। সেই হিসেবে তিলক ভার্মা, শিভম দুবে, হার্দিক পাণ্ডিয়া, অক্ষর প্যাটেল জায়গা পেতে পারেন। শিভম ও হার্দিক পেস বোলিং করতে পারায় বাড়তি স্পিনার খেলাতে পারবে ভারত।
অন্যদিকে সালমান আগা বদলে দিয়েছেন পাকিস্তানের ব্যাটিং মানসিকতা। তিনি তার ব্যাটারদের ভয়ডরহীনভাবে খেলার উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছেন। নিজে মারকুটে না হলেও সময়ের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছেন। তার ক্যারিয়ারের আটটি ফিফটির মধ্যে চারটিই এসেছে এ বছর।
পাকিস্তান বেশ কয়েকটি সিরিজে প্রায় একই স্কোয়াড নিয়ে মাঠে নামছে। টপ অর্ডারে দুই নিয়মিত ওপেনার সাহিবজাদা ফারহান ও সাইম আইয়ুবকে দেখা যেতে পারে। তিন নম্বরে অভিজ্ঞ ফখর জামান ও চারে দেখা যাবে অধিনায়ক সালমান আগাকে।
তবে পাকিস্তানের মিডল অর্ডার যেকোন মুহূর্তেই খেলা ঘুরিয়ে দিতে পারে। হাসান নওয়াজ ও মোহাম্মদ নওয়াজ আছেন দুর্দান্ত ফর্মে। তাদের সাথে থাকতে পারেন পেস বোলিং অলরাইন্ডর ফাহিম আশরাফ ও হারিস রউফ। তারাও শেষদিকে দ্রুত রান তুলতে পারে।
দুবাইতে সাধারণত খুব বেশি রান হয় না। গত দুই বছরে ৩৬ টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ইনিংসে গড় রানরেট ছিল ৭.৭। এই সময় পেসাররা বেশি উইকেট পেয়েছে। ৪৪১ উইকেটের মধ্যে ২৭৭টি উইকেটে পেয়েছে পেস বোলাররা। কিন্তু স্পিনাররা ওভারপ্রতি কম রান খরচ করেছে এই মাঠে। স্পিনাররা ওভারপ্রতি ৭.০৩ রান দিয়েছেন, বিপরীতে পেসাররা দিয়েছেন ৮.৩৬ রান।
দুবাইয়ের ধীরগতির উইকেট মাথায় রেখে, ভারতের হয়ে একমাত্র মূল পেসার হিসেবে খেলানো হতে পারে জাসপ্রিত বুমরাহকে। সহায়কের ভূমিকায় থাকতে পারেন অলরাউন্ডার হার্দিক পাণ্ডিয়া ও শিবম দুবে।
এতে স্পিন আক্রমণে জায়গা পেতে পারেন কুলদীপ যাদব, বরুণ চক্রবর্তী ও দক্ষ অফস্পিনার অক্ষর প্যাটেল। অক্ষর অবশ্য ব্যাট হাতেও দ্রুত রান তুলতে পারেন।
পাকিস্তানেরও রয়েছে বেশকিছু ভালো স্পিনার। বাঁ হাতি স্পিনার সুফিয়ান মকিম ‘এ’ দল থেকে উঠে এসেছেন, পাকিস্তানের সবচেয়ে প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের একজন হিসেবে ভাবা হচ্ছে তাকে। এছাড়া তার সঙ্গে আছেন আরেক লেগস্পিনার আবরার আহমেদ। ভারতের বিপক্ষে দলে ফিরতে পারেন পেসার হারিস রউফ।
ভারতের সম্ভাব্য একাদশ:
সূর্যকুমার যাদব (অধিনায়ক), অভিষেক শর্মা, শুভমান গিল, সাঞ্জু স্যামসন, তিলক ভার্মা, শিভম দুবে, হার্দিক পাণ্ডিয়া, অক্ষর প্যাটেল, কুলদীপ যাদব, জাসপ্রিত বুমরাহ, বরুণ চক্রবর্তী।
পাকিস্তানের সম্ভাব্য একাদশ:
সালমান আগা (অধিনায়ক), সাহিবজাদা ফারহান, সাইম আইয়ুব, ফখর জামান, হাসান নওয়াজ, মোহাম্মদ হারিস, মোহাম্মদ নওয়াজ, ফাহিম আশরফ, শাহীন শাহ আফ্রিদি, সুফিয়ান মকিম, আবরার আহমেদ।