আমি একা নির্বাচন করলেও পাস করতাম : তামিম

লম্বা সময় পরে বিসিবি নির্বাচনে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখার অপেক্ষায় ছিল দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল আর আমিনুল ইসলাম বুলবুল নির্বাচনে লড়ার ঘোষণা দিয়ে সেটির আভাসও দিয়েছিলেন। কিন্তু নির্বাচনে অনিয়ম ও অস্বচ্ছতার অভিযোগ এনে মাঝেপথে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান তামিম।
সেসময় একই অভিযোগ এনে তামিমের সঙ্গে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান ঢাকার বেশ কিছু ক্লাব সংগঠকরা। আজ বুধবার (৮ অক্টোবর) নির্বাচনের প্রতিক্রিয়া জানাতে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছিলেন সেই ক্লাব সংগঠকরা। সেখানে উপস্থিত হয়ে তামিম জানান, একা নির্বাচন করলেও জিততেন তিনি।
তামিম বলেন, ‘আমি এটা গ্যারান্টি দিয়ে বললাম, আমি স্বতন্ত্র হিসেবেও যদি দাঁড়াতাম আমার পক্ষে কোন টিম আছে, আমার বিপক্ষে কোন টিম আছে, তারপরও আমি সহজে পাস করতাম। এটা নিয়ে আমার কোনো সন্দেহ ছিল না।’
নির্বাচনে আলোচনায় ছিল দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় অভিযুক্ত তৃতীয় বিভাগের ১৫টি ক্লাব। শুরুতে তাদের কাউন্সিলর তালিকায় না রাখলেও শেষ পর্যন্ত হাইকোর্টের রায়ে কাউন্সিলরশিপ ফেরত পান তারা। ততক্ষণে অবশ্য নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান তারা। এ নিয়ে নির্বাচনের আগের রাতে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া তার ফেসবুক পেজে লিখেছিলেন, ‘ধৈর্য ধরলে’ অনেকেই বিসিবি পরিচালক হতে পারতেন।
তাহলে ধৈর্য না ধরে নির্বাচনের ‘ট্রেন’ মিস করেছেন কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে তামিম বলেন, ‘আপনি কি মনে করেন, ১৫ ক্লাব থাকুক আর না থাকুক আমার জন্য কেউ ভোট করত না? আমার জন্য (নির্বাচনের) বাস ধরা না ধরা কোনো অপশন ছিল না। আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল একটি ফেয়ার ইলেকশন হওয়া।’
নির্বাচনে অংশ নেওয়া ক্লাব সংগঠকদের উদ্দেশ্য করে তামিম বলেন,‘উনারা যেটা সঠিক মনে করেছেন, সেটাই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এটা নিয়ে কোনো ধরনের অভিযোগ নেই। কিন্তু আজকে আপনারা যে স্টেটমেন্ট দিচ্ছেন, এই স্টেটমেন্টটাই রাখবেন। ভবিষ্যতে যদি কোনো কিছু হয়, স্টেটমেন্ট বদলে ফেলে আমাদের সঙ্গে এসে বসে যাবেন না।’