বাংলাদেশ-হংকং মহারণ আজ

বাংলাদেশের ফুটবলে আবারও প্রাণ ফিরে এসেছে। ফুটবলের উচ্ছ্বাসটা ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। প্রবাসী ফুটবলাররা দেশকে প্রতিনিধিত্ব করায় দেশের ফুটবলপ্রেমীদের মাঝেও ছড়িয়ে পড়েছে আশার আলো। সমর্থকদের স্বপ্ন দেখানো হামজা-শমিতদের লক্ষ্য এখন এশিয়ান কাপে জায়গা করে নেওয়া। বাছাইপর্বের লড়াইয়ে টিকে থাকতে হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচে বাংলাদেশের সামনে এখন একটাই লক্ষ্য—জয়।
আজ বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচে হংকংয়ের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। জাতীয় স্টেডিয়াম, ঢাকায় ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায়।
বাছাইপর্বে একমাত্র গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন দলই এশিয়া কাপের মূলপর্বে সরাসরি খেলবে। তাই বাছাইয়ে টিকে থাকতে হলে এ ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই হামজা-জামালদের সামনে। হারলে কাগজে-কলমে সমীকরণ বেঁচে থাকলেও কার্যত শেষ হয়ে যাবে আশা।
বাংলাদেশ থেকে র্যাঙ্কিংয়েও বেশ এগিয়ে হংকং। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে তারা ১৪৬ নম্বরে। হামজা-জামালরা তাদের থেকে ৩৮ ধাপ পেছনে। বাংলাদেশের র্যাঙ্কিং ১৮৪। তবে প্রবাসী ফুটবলারদের আগমনে বাংলাদেশ এখন বেশ শক্তিশালী। তাই জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ।
এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে দুই রাউন্ড শেষে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে সিঙ্গাপুর। সমান চার পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থাকায় দুই নম্বরে হংকং। এক পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে আছে বাংলাদেশ। সমান পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থাকায় চার নম্বরে ভারত।
আগামীকাল হংকংয়ের বিপক্ষে হারলে শীর্ষ স্থানের সঙ্গে পয়েন্ট ব্যবধান দাঁড়াবে ৬। বাকি তিন ম্যাচে এই ৬ পয়েন্টের ব্যবধান ঘুচানো কঠিন। কারণ চার দলের এই গ্রুপে একমাত্র গ্রুপ চ্যাম্পিয়নই এশিয়া কাপে খেলবে। তার ওপর বাংলাদেশকে পরের তিন ম্যাচের দুটিই খেলতে হবে প্রতিপক্ষের মাঠে।
হংকং ম্যাচের আগে গতকাল (৮ অক্টোবর) ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন বাংলাদেশ দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরা আর জামাল ভূঁইয়া। সেখানে বেশ আশার বাণী শোনান তারা।
কাবরেরাও জানান হামজা-শমিতদের আগমনে বাংলাদেশ এখন আরও শক্তিশালী হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা জানি আমাদের সক্ষমতা আছে, ইতিহাস গড়তে পারি। স্কোয়াডের গুণগত মান নিয়ে আমি সব সময়ই সন্তুষ্ট। তবে সাম্প্রতিক কিছু নতুন সংযোজন আমাদের দলকে আরও শক্তিশালী করেছে।’
হংকং ম্যাচকে সামনে রেখে বেশ কয়েকদিন ধরে ক্যাম্প করেছে বাংলাদেশ। অনুশীলনে কোনো কমতি রাখেনি। খুঁজে বের করেছে হংকংয়ের দুর্বলতা। তবে জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশের অধিনায়ক।
ম্যাচের আগেরদিন জামাল বলেন, ‘প্রস্তুতি ভালো হয়েছে। গত কয়েক দিনে আমরা হংকং দলের শক্তি-দুর্বলতা, সবকিছু বিশ্লেষণ করেছি। কিন্তু আমি সেগুলো এখানে বলব না। আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, খেলোয়াড়রা কালকে মাঠে দৃঢ়তা, ভালো খেলার তীব্রতা ও সাহস দেখাবে।’
এশিয়ান কাপে খেলার স্বপ্ন টিকিয়ে রাখতে আজকের ম্যাচটি অনেকটা বাঁচা-মরার লড়াই। প্রতিপক্ষ হংকং শক্তিশালী হলেও, আত্মবিশ্বাসে পিছিয়ে নেই বাংলাদেশ। জামাল, হামজা, শমিতদের অভিজ্ঞতা ও সাহস মিলিয়ে দলটাও বেশ ভালো। এখন মাঠের লড়াইয়ে নিজেদের সেরাটা দিতে প্রস্তুত লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। এবার অপেক্ষা শুধু ৯০ মিনিটের লড়াইয়ে সেই স্বপ্নপূরণের পথে এক ধাপ এগিয়ে যাওয়ার।