শুরুর একাদশে শমিতকে না রাখার যে ব্যাখা দিলেন কাবরেরা

হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচের যোগ করা সময়ে শমিত সোমের গোলের পর বাংলাদেশের খেলোয়াড় ও দর্শকরা উচ্ছ্বাস নিয়ে বের হওয়ারই পরিকল্পনা করছিল। প্রাবাসী এই ফুটবলারের সমতায় ফেরানোর গোলের পর স্টেডিয়ামজুড়ে বাঁধবাঙা উল্লাসটা তাই বলে দিচ্ছিল। কিন্তু দৃশ্যপট পাল্টে যায় ম্যাচের একদম শেষ মুহূর্তের গোলে। লড়াই করেও নিজেদের ভুলে হেরে ফিরেছে বাংলাদেশ। আর এই শমিতই ম্যাচের বেশিরভাগ সময় ছিলেন বেঞ্চে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) জাতীয় স্টেডিয়ামে হংকংয়ের বিপক্ষে ৪-৩ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ। এতে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের তিন রাউন্ড শেষে দুই হার আর এক ড্রয়ে এক পয়েন্ট নিয়ে ‘সি’ গ্রুপের চার নম্বরে আছে বাংলাদেশ।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা বলেন, ‘শমিত প্রায় দুই মাস ইনজুরিতে ছিল। তাই আমরা আগেই আলোচনা করেছিলাম, ওকে যেন দ্বিতীয় ম্যাচে সম্পূর্ণ প্রস্তুত অবস্থায় নামানো যায়। ওর ওপর অতিরিক্ত চাপ না পড়ে। সে জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচের দুই অর্ধেই একই সমস্যায় আবার জর্জরিত হয়েছে বাংলাদেশ। একদম শেষ মুহূর্তে গোল খেয়েছে। আর চতুর্থ গোলটি হজম করেছে তো শেষ বাঁশি বাজার আগে। মোটা দাগে শেষ মুহূর্তে তালগোলে পাকিয়েই ম্যাচ হেরেছে বাংলাদেশ।
অবশ্য বাংলাদেশের এই হারে কোচ হাভিয়ের কাবরেরার পরিকল্পনা নিয়েও প্রশ্ন তোলা যায়। শমিত সোম, জামাল ভূঁইয়া, ফাহমিদুল ইসলাম কিংবা জায়ান আহমেদদের মতো ফুটবলারদের বেঞ্চে বসিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত যে সঠিক ছিল না, সেটা প্রমাণ করেছেন তারা বদলি নেমে।
দ্বিতীয়ার্ধে শমিত-জামাল-ফাহমিদুল-জায়ানরা যখন বদলি নামেন তখন বাংলাদেশ ৩-১ গোলে পিছিয়ে। কিন্তু এরপরই দৃশ্যপট বদলে দেন তারা। একের পর এক আক্রমণে নাভিশ্বাস তুলে ফেলে হংকংয়ের। বল পায়ে জায়ান, জামাল, ফাহমিদুলরা ছিলেন প্রশ্নাতীত। আদায় করে নেয় দুটি গোল। ম্যাচে ফেরায় সমতা। এর মধ্যে শমিত নিজেই একটি গোল করেন।
জায়ানকে পরে নামানো নিয়ে কাবরেরা বলেন, ‘হংকংয়ের এভারটন ক্লান্ত হয়ে পড়লে দ্বিতীয়ার্ধে জায়ানকে নামাব, সেটাই ভেবে রাখি। প্রথমার্ধে এভারটনকে ভালোভাবে সামলেছে সাদ।’
ঘরের মাঠে এই ম্যাচে হারের পর কাবরেরাকে নিয়েও বেশ সমালোচনা হচ্ছে। তবে তিনি দায়টা এড়িয়ে যাননি। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে কাবরেরা বলেন, আমি সব দায় নিচ্ছি, পুরো টিমও নিচ্ছে। সবচেয়ে বেশি দায় আমারই।’