এনসিএল টি-টোয়েন্টি
শিরোপার লড়াইয়ে লড়াকু পুঁজি পেল খুলনা

শিরোপার লড়াইটা যেন ঠিক জমিয়ে তুলতে পারল না খুলনার ব্যাটাররা। বিশেষ করে টপঅর্ডারে অভিজ্ঞ সৌম্য সরকার-এনামুল বিজয়রা দায়িত্ব নিতে পারলেন না। তবুও অধিনায়ক মিথুন আর অলরাউন্ডার মৃত্যুঞ্জয়ের ব্যাটে রংপুরকে দেড়শর কাছাকাছি লক্ষ্য দিয়েছে খুলনা।
আজ রোববার (১২ অক্টোবর) প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৬ রানের পুঁজি দাঁড় করিয়েছে খুলনা। দ্বিতীয় শিরোপার জন্য রংপুরের প্রয়োজন ১৩৭ রান।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি খুলনার। স্কোরবোর্ডে কোনো রান যোগ করার আগেই ফিরে যান ওপেনার ইমরানুজ্জামান। নাসুম আহমেদের শিকারে পরিণত হন তিনি।
এরপর ভুল বোঝাবুঝির রানআউটে কাটা পড়েন এনামুল হক বিজয়। ফেরার আগে ১৫ বলে ১২ রান আসে তার ব্যাট থেকে। বিজয়ের সঙ্গে সেসময় উইকেটে থাকা ওপেনার সৌম্য সরকারও ফেরেন তার পরপরই। কচ্ছপগতির ব্যাটিংয়ে ২২ বলে ৮ রান করে বিদায় নেন তিনি।
চার নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা অধিনায়ক মোহাম্মদ মিথুন একপ্রান্ত আগলে রেখে রানের গতি কিছুটা বাড়ান। অবশ্য তখনও চলেছে যাওয়া-আসার মিছিল। আফিফ হোসেন ধ্রুব (১০ বলে ১৪), পারভেজ জীবনরা (৯ বলে ৮) যোগ দিয়েছেন সেই মিছিলে।
ষষ্ঠ উইকেটে মৃত্যঞ্জয় চৌধুরীকে সঙ্গে নিয়ে ৪৪ রানের জুটি গড়ে দলীয় রান ১০০ পার করেন মিথুন। ব্যাটহাতে ছোট্ট ক্যামিওকে খুব বেশি বড় করতে পারেননি মৃত্যুঞ্জয়। সমান ২ চার আর ছক্কায় ১৩ বলে ২৪ রান করে তিনি বিদায় নিলে ভাঙে সেই জুটি।
এর পরপরই ফিরে যান মিথুনও। আব্দুল্লাহ আল মামুনের বলে নাসুমকে ক্যাচ দেওয়ার আগে ৩২ বলে ৪৪ রান করে ফেরেন তিনি। এক চার আর ৩ ছক্কায় সাজানো ছিল তার ইনিংসটি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
খুলনা বিভাগ : ২০ ওভারে ১৩৬/৮ (ইমরানুজ্জামান ০, সৌম্য ৮, বিজয় ১২, মিথুন ৪৪, আফিফ ১৪, পারভেজ জীবন ৮, মৃত্যুঞ্জয় ২৪, অভিষেক ০, জিয়াউর ৯*, নাহিদুল ১১*; নাসুম ৩-০-১৭-১, নাসির ৪-১-১৯-০, হাসিম ৪-০-২৮-১, ইকবাল ২-০-১৪-১, জাহিদ ১-০-১১-০, এনামুল ২-০-১৪-১, আলাউদ্দিন ২-০-১৭-১, আল মামুন ২-০-১৫-২)।