রোমাঞ্চকর জয়ে কোয়ালিফায়ারে রংপুর

অনেকটা আড়ালেই শেষ হওয়ার পথে এনসিএল টি-টোয়েন্টি। আজ এলিমিনেটর ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল রংপুর বিভাগ আর ঢাকা বিভাগ। সমীকরণ স্পষ্ট, জিতলে কোয়ালিফায়ার আর হারলে বিদায় নিতে হবে টুর্নামেন্ট থেকে। লো-স্কোরিং ম্যাচে সেই সমীকরণ মিলিয়ে কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত করেছে রংপুর বিভাগ। আর চলতি আসরে এখানেই সমাপ্তি টানতে হয়েছে ঢাকাকে।
আজ বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে সব উইকেট হরিয়ে ১২৩ রান তোলে ঢাকা বিভাগ। জবাব দিতে নেমে এক বল আর এক উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয় রংপুর। এখন ফাইনালের লড়াইয়ে প্রথম কোয়ালিফায়ারে (চট্টগ্রাম-খুলনা) পরাজিত দলের বিপক্ষে মাঠে নামবে রংপুর।
রান তাড়ায় নেমে রংপুরের শুরুটা ভালো হয়নি। প্রথম পাঁচ ব্যাটারের মধ্যে মাত্র একজন দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারে। ওপেনার অনিক সরকার সেই ইনিংসও লম্বা করতে পারেনি। ১৩ বলে ১৬ রান করে ফেরেন তিনি।
মিডল অর্ডারে নেমে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক আকবর আলী। ২৭ বলে ৪৪ রানের ঝড়ো ইনিংসে জয়ের আশা বাঁচান তিনি। চারটি চার আর এক ছক্কায় সাজানো ছিল তার ইনিংস। এরপর সেই আশার পালে হাওয়া দেন নাসুম আহমেদ। আট নম্বরে নেমে ২৩ বলে ২৬ রান করে তিনি ফিরলে আবারও আশার প্রদীপ নিভু নিভু করতে শুরু করে।
১৮ ওভার শেষে রংপুরের জয় পেতে দরকার ছিল ১০ রান, হাতে ছিল ৪ উইকেট। পরের ওভারে ২ রানে ২ উইকেট হারানোয় সেই ম্যাচ আরও রোমাঞ্চকর হয়ে ওঠে। শেষ পর্যন্ত ১ বল এবং ১ উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয় রংপুর।
এর আগে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে রংপুরের বোলিং তোপে পরে ঢাকা। শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে হারাতে থাকে উইকেট। টপঅর্ডার, মিডল অর্ডার কিংবা লোয়ার মিডল অর্ডার, দায়িত্ব নিতে পারেননি কোনো ব্যাটারই। পাঁচজন ব্যাটার দুই অঙ্ক ছাঁড়ালেও ইনিংস বড় করতে পেরেছেন মাত্র একজন।
মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের হাফসেঞ্চুরি ছাড়ানো ইনিংসে ভর করে ১০০ ছাড়ানো পুঁজি পায় ঢাকা। ৩৬ বলে ৬১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন তিনি। দুই চার আর ছয়টি ছক্কায় সাজানো ছিল মোসাদ্দেকের ইনিংস। বাকিদের ব্যর্থতার ভিড়ে তিনি আশার প্রদীপ হয়ে ছিলেন।