ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে নিলেন সৌম্য

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে সহজ জয়টা হাতছাড়া করেছে বাংলাদেশ। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচেটি সুপার ওভারে গড়ালে বাংলাদেশের ব্যাটাররা সেখানে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। বাংলাদেশ এই ম্যাচে হারে ১ রানে হেরেছে। যেখানে ৯ বলের সুপার ওভার থেকে ১১ রান নিতে পারেনি তারা। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে ব্যর্থতার দায়টা স্বীকার করে নিয়েছেন বাংলাদেশের ওপেনার সৌম্য সরকার।
সুপার ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজেকে ১০ রানে আটকে দিয়েছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। ১১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশের সামনে বোলিয়ে আসন স্পিনার আকিল হোসাইন। প্রথম বলই ওয়াইড, পরেরটা ‘নো’ বল। সেই বলে ডিপ মিড উইকেটে স্লগ করে ২ রান নিলেও ফ্রি হিটে ১ রানের বেশি নিতে পারেননি সৌম্য। এরপর আকিলের চতুর্থ বলে ক্যাচ দিয়ে পিরে আসেন ৩ বলে মাত্র ৩ রান করে।
সুপার ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে আকিল হোসেন যে বল করতে আসবেন তা অনেকটা অনুয়েই ছিল বাংলাদেশের জন্য। যেকারণে তারা সেভাবেই প্রস্তুত ছিল। আত্মবিশ্বাসী হয়ে নেমে সেভাবে কোন প্রভাবই ফেলতে পারেননি সৌম্য।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে নিজের ব্যর্থতা স্বীকার করে সৌম্য বলেন, ‘আমার জন্য এটা ব্যর্থতা। একজন বাঁহাতি স্পিনার ছিল। আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম যে একটা বাউন্ডারি আদায় করতে পারবো। তবে এটাও ঠিক যে উইকেটটা সহজ ছিল না, সহজে চার ছক্কা মারার মতো ছিল না। বলটা অনেক পুরোনো হয়ে গিয়েছিল।’
সৌম্য আরও বলেন, ‘আজকে তিনটা ফ্রি হিট আমি কাজে লাগাতে পারিনি। এর আগেও আমার অনেক ফ্রি হিট মিস হয়েছে। তবে ওরকম কোনো মানসিক চাপ ছিল না। আমার লক্ষ্যই ছিল ছয় মারার বা বাউন্ডারি, কিন্তু আমি পারিনি। হয়তো এখানে আমার কোনো ঘাটতি ছিল।’
ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে নিলেও অজুহাত দিয়েছেন পুরানো বলের আর উইকেটের। স্লো উইকেট আর টার্নের জন্য বল মারলেও যাচ্ছিলোনা। তবে এই ধরণের পরিস্থিতিতে উন্নতি করকে চেষ্টা করে যাবেন বলেন জানান তিনি।
এই প্রসঙ্গে সৌম্য বলেন, '৫০ ওভারের পর তাই মারলেও যাচ্ছিল না। বড় হিট করতে গেলে উইকেটেরও সাহায্য লাগে। বলটা একটু স্লো আসছিল এবং টার্নও ছিল অনেক বেশি। পরেরবার যদি এমন উইকেট থাকে, তাহলে সেভাবেই অনুশীলন করতে হবে যে কীভাবে ছয় মারা যায়।'
গতকাল মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মিরপুরে সুপার ওভারে ১ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। সহজ জয়টা যেভাবে হাতছাড়া করেছে বাংলাদেশ তা স্কোরকার্ডেই দেখে নিন..
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ : ৫০ ওভারে ২১৩/৭ (সাইফ ৬, সৌম্য ৪৫, হৃদয় ১২, শান্ত ১৫, মাহিদুল ১৭, নাসুম ১৪, সোহান ২৩, মিরাজ ৩২*, রিশাদ ৩৯*; আকিল ১০-১-৪১-২, চেজ ১০-২-৪৪-০, পিয়েরে ১০-০-৪৩-০, মটি ১০-০-৬৫-৩, আথানেজ ১০-৩-১৪-২)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ : ৫০ ওভারে ২১৩/৯ (আথানেজ ২৮, কিং ০, কার্টি ৩৫, আগুস্ত ১৭, রাদারফোর্ড ৭, মোটি ১৫, চেজ ৫, গ্রেভস ২৬, আকিল ১৬, পিয়েরে ২*,হোপ ৫৩*; নাসুম ১০-০-৩৮-২, তানভীর ১০-০-৪২-২, রিশাদ ১০-০-৪২-৩, সাইফ ২-০-৯-১, মিরাজ ১০-১-৩৮-০, মুস্তাফিজ ৮-০-৪০-০)
সুপার ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ : ১ ওভারে ১০/১ (হোপ ৭*, রাদারফোর্ড ৩, কিং ০*; মুস্তাফিজ ১-০-১০-১)
সুপার ওভারে বাংলাদেশ : ১ ওভারে ৯/১ (সৌম্য ৩, সাইফ ২*, শান্ত ০*; আকিল ১-০-৮-১)
ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ রানে জয়ী।