ঘরের মাঠে বায়ার্ন মিউনিখ ও চেলসির গোল উৎসব

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এই সপ্তাহে বড় ক্লাবগুলোর প্রতিটিই যেন গোল উৎসবে মেতেছে। ইংলিশ ক্লাব চেলসি ও জার্মান জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিখও গতকাল বুধবার (২২ অক্টোবর) রাতে দুর্দান্ত জয় পেয়েছে। নিজেদের মাঠে দাপুটে ফুটবলে প্রতিপক্ষকে উড়িয়ে দিয়েছে দুটি দলই। আয়াক্সকে ৫-১ গোলে হারিয়েছে চেলসি আর ক্লাব ব্রুগাকে ৪-০ গোলে হারিয়েছে বায়র্ন।
লন্ডনের স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে ডাচ ক্লাব আয়াক্সকে ৫-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছে এনজো মারেসকার দল। ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে খেলেছে স্বাগতিকরা। তবে আয়াক্স ধাক্কাটা খেয়েছে ম্যাচের ১৭ মিনিটে, কেনেথ টেইলর লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে ১০ জনের দলে পরিণত হয় তারা। এরপরই রিতীমতো বিধ্বস্ত হতে হয়েছে ডাচ ক্লাবটিকে।
ম্যাচের ১৮তম মিনিটে মার্ক গিউয়ের গোলের পর ২৭তম মিনিটে স্কোরলাইন ২-০ করেন ময়েজেস কাইসেদো। তবে ৩৩তম মিনিটে আয়াক্সের পক্ষে ভাউট ভেগহোস্ট পেনাল্টি থেকে গোল করে ব্যবধান কমান।
এরপর প্রথমার্ধের শেষ দিকে পেনাল্টি থেকে দুটি গোল করে চেলসি। ৪৫ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করেন আর্জেন্টিাইন তারকা এনজো ফার্নান্দেজ, আর যোগ করা সময়ের ষষ্ঠ মিনিটে অন্য গোলটি করেন ব্রাজিলিয়ান তরুণ এস্তেভাও। এতে প্রথমার্ধের খেলাতেই ৪-১ গোলে এগিয়ে যায় চেলসি।
দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে ফিরে শুরুতেই ৪৮তম মিনিটে তাইরিক জর্জ গোল করে চেলসির ব্যবধান করেন ৫-১। এই জয়ে পয়েন্ট তালিকার ১১ নম্বরে উঠে এসেছে লন্ডনের ক্লাবটি।
অন্যদিকে, একই রাতে জার্মানিতে সমানভাবে দাপট দেখিয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ। তারাও প্রতিপক্ষকে উড়িয়ে দিয়েছে ৪ গোলের ব্যবধানে। আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ক্লাব ব্রুগাকে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে তারা।
ঘরের মাঠে ম্যাচের প্রথমার্ধেই ৩-০ গোলে এগিয়ে যায় জার্মান চ্যাম্পিয়নরা। ম্যাচের শুরুতে পঞ্চম মিনিটে গোল করে বায়ার্নকে এগিয়ে নেন লেনার্ট কার্ল। এরপর ১৪তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ইংলিশ স্ট্রাইকার হ্যারি কেইন। ৩৪তম মিনিটে ব্যবধান ৩-০ করেন কলম্বিয়ান তারকা লুইস দিয়াজ।
দ্বিতীয়ার্ধেও বায়ার্নের আক্রমণের ধার কমেনি। ম্যাচের ৭৯তম মিনিটে ব্যবধান ৪-০ করেন নিকোলাস জ্যাকসন। ম্যাচজুড়ে বল দখল ও আক্রমণে এগিয়ে ছিল বায়ার্ন। ৬০ শতাংশ বল দখলে রেখে ২৩টি শট নিয়ে ১০টি লক্ষ্যে রাখে তারা।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এখন পর্যন্ত প্রথম তিন ম্যাচ শেষে প্রথম ৫ দলের পয়েন্ট সমান। তবে গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে শীর্ষে আছে পিএসজি। এরপর যথাক্রমে বায়ার্ন মিউনিখ, ইন্টার মিলান, আর্সেনাল ও রিয়াল মাদ্রিদ যথাক্রমে দুই, তিন, চার ও পাঁচে অবস্থান করছে।