বিসিবির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ চট্টগ্রাম কিংসের
স্বচ্ছ ও সুন্দর ভাবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) আয়োজন করতে চায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এবার পাঁচ বছরের জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকানা দেওয়া হবে প্রতিষ্ঠানগুলোকে। যে কারণে দলগুলোর লক্ষ্য-উদ্দেশ্য জানতে ও বিসিবির পক্ষ থেকে দিকনির্দেশনা দিতে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল বিসিবি।
বিপিএলের আগামী আসরের ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকানা পেতে আবেদন করেছে ১১টি প্রতিষ্ঠান। তবে আজ বৃহস্পতিবারের (৩০ অক্টোবর) বৈঠকে বিসিবির পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল ৯টি প্রতিষ্ঠানকে। এর মধ্যে ছিল না চিটাগং কিংসের জন্য আবেদন করা এসকিউ স্পোর্টস। গত বিপিএলে নানা কারণে আলোচনায় আসা প্রতিষ্ঠানটি এবারও ফ্র্যাঞ্চাইজি পেতে আবেদন করেছে।
বিসিবির বৈঠকে ডাক না পেয়ে বিসিবির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলেছে চিটাগং কিংস। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই অভিযোগ তুলে এসকিউ স্পোর্টস।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তারা লিখেছে, ‘আজ বিসিবি আসন্ন বিপিএল টি-২০ টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণে আগ্রহী সকল ফ্র্যাঞ্চাইজিকে নিয়ে একটি পরিচিতি সভার আয়োজন করে। তবে উক্ত সভা থেকে অন্যায়ভাবে চিটাগং কিংস ফ্র্যাঞ্চাইজিকে বাদ দেওয়া হয়। আমরা সর্বদা বিসিবি ও বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলকে সম্মান করে এসেছি। তবে চলমান আইনি প্রক্রিয়া উপেক্ষা করে আদালতের আদেশ অমান্য করা অন্যায় ও বেআইনি।’
ফ্র্যাঞ্চাইজি চেয়ে আবেদন করার সময় ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি হিসেবে দুই কোটি টাকার পে-অর্ডার জমা দেওয়ার কথা ছিল আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলোকে। বিসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সেই টাকা জমা দেয়নি চিটাগং-এর জন্য আবেদন করা এসকিউ স্পোর্টস। যে কারণে তাদের বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
বিসিবির এই ব্যাখ্যাকে বাস্তবতার পরিপন্থী বলে উল্লেখ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে। বলা হয়েছে, ‘বিসিবির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে জানানো হয়েছে যে, এসকিউ স্পোর্টস এন্টারপ্রাইজ লি. নির্ধারিত ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি’র পে-অর্ডার জমা দেয়নি, তাই তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। কিন্তু এই বক্তব্য বাস্তবতার পরিপন্থী।’
তাদের দাবি বিপিএল গভর্ণিং কাউন্সিলের সদস্য ইফতেখার রহমানের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে তাদের। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘এস কিউ স্পোর্টস ইতোমধ্যে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য ইফতেখার রহমান মিঠুর সঙ্গে আলোচনা করেছে যে, পূর্ববর্তী বিরোধ নিষ্পত্তির পর ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি জমা দেওয়া হবে।’
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ‘এস কিউ স্পোর্টস আনুষ্ঠানিকভাবে বিসিবি ও বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল বরাবর একটি পত্র এবং হাইকোর্টের আদেশ প্রেরণ করেছে, যেখানে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ফি জমা সংক্রান্ত অবস্থান স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে।’
বিপিএলের সঙ্গে চট্টগ্রাম কিংসের পূর্ববর্তী বিরোধ মূলত বকেয়া টাকা নিয়ে। বিপিএলের প্রথম দুই আসরে অংশ নিয়েছিল চিটাগং কিংস। সেই দুই আসরে অনেক অভিযোগ ও বিতর্কের জন্ম দেওয়া এই ফ্র্যাঞ্চাইজিকে বাদ দেয় বিসিবি। সেসময় ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক বকেয়া রেখেছিল চিটাগং। সেই পারিশ্রমিক পরিশোধ করেছিল বিসিবি। প্রথম দুই আসরের পাওনার সঙ্গে ২০১২ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত সুদের অর্থ যোগ করে পরিমাণ দাঁড়ায় ৪৬ কোটি টাকা। সেই টাকা পেতে বিসিবির পক্ষ থেকে আইনি নোটিশও দেওয়া হয়েছিল।

স্পোর্টস ডেস্ক