জুনিয়রদের মারধর করেন জ্যোতি, অভিযোগ জাহানারার
বাংলাদেশ জাতীয় দলের অন্যতম সেরা পেসার জাহানারা আলম। তারকা এই পেসারের হাতে ছিল অধিনায়কত্বও। তবু, তিনি এখন জাতীয় দলে ব্রাত্য। থাকেন অস্ট্রেলিয়ায়। ক্রিকেটের মানুষ জাহানারা ক্রিকেটকে ছাড়েননি। আছেন খেলাটির সঙ্গেই। ভিনদেশে থাকলেও খোঁজ রাখেন দেশের ক্রিকেটের, জাতীয় দলে খেলা নারী ক্রিকেটারদের খোঁজ রাখেন নিয়মিত।
খোঁজ রাখা থেকেই জাহানারা জানেন, বাংলাদেশ দলের বর্তমান অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি গায়ে হাত তোলেন জুনিয়রদের। আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) একটি জাতীয় দৈনিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমন অভিযোগ তোলেন জাহানারা। সদ্য শেষ হওয়া নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে জ্যোতির কার্যক্রম তুলে ধরেন জাহানারা।
জাহানারা বলেন, ‘এটা তো নতুন কিছু নয়। জ্যোতি প্রচুর মারধর করে জুনিয়রদের। এই বিশ্বকাপের সময়ও জুনিয়ররা আমাকে এ রকম জানিয়েছে, না বাবা, এটা আর করব না। তাহলে আবার থাপ্পড় খেতে হবে। কয়েকজনের কাছ থেকে জেনেছি, কালকে মার খেয়েছি। দুবাই সফরের সময়ও এক জুনিয়রকে রুমে ডেকে নিয়ে থাপ্পড় মেরেছে।’
শুধু তা-ই নয়, সিনিয়রদের সম্মানও দিতেন না জ্যোতি, এমন দাবি তোলেন জাহানারা। জুনিয়রদের নিয়ে ব্যাগ টানানোর মতো ঘটনাও উল্লেখ করা হয়। তাছাড়া, জুনিয়রদের দিয়ে মাথা টেপানোর মতো ঘটনাও না কি ঘটেছে।
জাহানারা যোগ করেন, সিলেটে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে ৩০ থেকে ৪০ মিনিটের ফিটনেস সেশন করার পর কেউ যখন ঠিকমতো হাঁটতেও পারছে না, তখন দেখি এক জুনিয়র জ্যোতির কিটব্যাগ টেনে এক মাঠ থেকে আরেক মাঠে নিচ্ছে। জুনিয়ররাই সব সময় ওর কিটব্যাগ টানে। কতবার যে জ্যোতিকে বলতে শুনেছি, এই বসে আছিস কেন? যা আমার ব্যাগ নামা। জুনিয়ররা আসলে করতে বাধ্য, কিছু করার নেই। সিলেটেরই আরেকটি ঘটনা বলি। দুটি ড্রেসিংরুমের একটি জুনিয়রদের জন্য বরাদ্দ। জ্যোতিকে দেখলাম, ওটায় গিয়ে জুনিয়রদের দিয়ে মাথা টেপাচ্ছে, চুলে তেল দেওয়াচ্ছে।
এখন ড্রেসিংরুমে ক্রিকেট নিয়ে আলোচনা হয় খুব কম। ক্ষমতা পেয়ে জ্যোতিও এর অপব্যবহার শুরু করে। প্রথমে শুরু করে সিনিয়রদের নাম ধরে ডাকা; সালমা আপুকে ‘সাল্লু’ আর আমাকে ‘এই জাহান’। আমি অবশ্য অবাক হইনি। কারণ জ্যোতি ছোটবেলা থেকেই উল্টোপাল্টা কাজ করত। মারামারি করে হাসপাতালে যাওয়ার রেকর্ডও আছে—যোগ করেন জাহানারা।
ঘটনা কতটা সত্য, সেটি জানতে এনটিভি অনলাইন থেকে জ্যোতির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও পাওয়া যায়নি তাকে।

স্পোর্টস ডেস্ক