হামজাময় রাতে হতাশার পুরোনো গল্প লিখে বাংলাদেশের ড্র
সেই পুরোনো গল্প! গোটা ম্যাচ ভালো খেলে শেষ মুহূর্তে গোল হজম। বৃথা গেল হামজা চৌধুরীর দুরন্ত শৈলী। শৈল্পিক ফুটবলে হামজা ম্যাচে ফিরিয়েছিলেন বাংলাদেশকে, সতীর্থরা তা ধরে রাখতে পারেননি। ৯৩ মিনিটে গোল হজম করে ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশ। জাতীয় স্টেডিয়াম ঢাকায় ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্র করেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
গোটা ম্যাচে আধিপত্য ছিল বাংলাদেশেরই। ঘরের মাঠে নেপালের বিপক্ষে দারুণ করেছে স্বাগতিকরা। প্রথমার্ধে তুলনামূলক ভালো করেছে দল। তবু, জয় পাওয়া হয়নি। ৯৩ মিনিটে কর্ণার থেকে পাওয়া বলে নেপালের হয়ে সমতা ফেরান অনন্ত তামাং।
প্রথমার্ধে যেখান থেকে শেষ করেছিলেন হামজা চৌধুরী, দ্বিতীয়ার্ধ শুরু করলেন সেখান থেকেই। ৪৬ মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে লব করলেন অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। বল খুঁজে নিল হামজাকে। বলা ভালো হামজা খুঁজে নিলেন বলকে। পরের মুহূর্তে উত্তাল পুরো জাতীয় স্টেডিয়াম। হামজার দুর্দান্ত বাইসাইকেল কিকে সমতা ফিরিয়েছে বাংলাদেশ।
মিনিট তিনেক বাদে ফের হামজার ঝলক। এবার পেনাল্টি পেল বাংলাদেশ। গুণে গুণে ছয় পা পেছালেন হামজা। নিলেন স্পটকিক। নেপাল গোলরক্ষক কিরণ কুমার লিম্বু ঝাঁপালেন ডান দিকে। হামজা আলতো করে সোজা জালে বল ফেললেন। টানা দুই গোলে লিড নেয় বাংলাদেশ। চোটের কারণে ৭৫ মিনিটে তাকে মাঠ থেকে তুলে নেন কোচ।
প্রথমার্ধে জাতীয় স্টেডিয়ামে শুরুটা ভালো করে বাংলাদেশ। দর্শকরা নড়েচড়ে বসার আগেই ব্যতিব্যস্ত করে নেপালের রক্ষণভাগকে। কিন্তু, যত গর্জে তত বর্ষে না যেন! প্রথমার্ধ শেষে ১-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ।
মাঝমাঠে হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারায় বাংলাদেশ। ম্যাচের বয়স তখন ২৮ মিনিট। ডি-বক্সে সাদ উদ্দিনকে পরাস্ত করতে বেগ পেতে হয়নি সুমিত শ্রেষ্ঠার। তার পাসে বল পেয়ে ডি-বক্সের বাইরে থেকে শট নেন রোহিত চান্দ। তার শটে আহামরি গতি না থাকলেও বাঁচাতে পারেননি গোলরক্ষক মিতুল মারমা।
পিছিয়ে পড়ে গোল শোধে মরিয়া হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। পরের ১০ মিনিটে অন্তত দুটি সুযোগ পায় স্বাগতিকরা। ডানপ্রান্ত থেকে সাদ উদ্দিনের বাড়ানো বলে ফিনিশিং দিতে ব্যর্থ হন রাকিব হোসেন। হামজা চৌধুরীর বানানো বলেও বল জালে জড়াতে পারেনি স্বাগতিক ফরোয়ার্ডরা।
৪২ মিনিটে বাম দিক থেকে আসা ক্রসে মাথা ছোঁয়ান ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। তা লুফে নিতে কষ্ট হয়নি নেপাল গোলরক্ষক কিরণ কুমার লিম্বুর। এর আগে-পরে বেশ কয়েকটি সুযোগ পায় বাংলাদেশ। কোনোটাই গোলে রূপান্তর করতে না পারায় ফেরানো হয় না সমতা। উল্টো স্রোতে গোল করে এগিয়ে থাকে সফরকারী নেপাল।

ক্রীড়া প্রতিবেদক