ম্যাচের মধ্যে মেজাজ হারিয়ে সতীর্থকে চড় মারলেন এভারটন মিডফিল্ডার
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে বিরল এক ঘটনা ঘটেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে এভারটনের ম্যাচে। গতকাল সোমবার (২৪ নভেম্বর) ওল্ড ট্রাফোর্ডে ম্যাচের ১৩ মিনিটে এভারটনের মিডফিল্ডার ইদ্রিসা গুয়ে সতীর্থ মাইকেল কিনকে চড় মারেন। সতীর্থকে চড় মারায় রেফারি টনি হ্যারিংটনও তাকে সঙ্গে সঙ্গে লাল কার্ড দেখান।
ঘটনার সূত্রপাত হয় যখন রক্ষণভাগে দুজনের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝিতে ম্যানইউ খেলোয়াড় ব্রুনো ফার্নান্দেস গোলের সুযোগ তৈরি করেন। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটির মধ্যেই গুয়ে মেজাজ হারিয়ে কিনের মুখে চড় দেন। তাকে থামানোর চেষ্টা করেন এভারটন গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড ও সতীর্থ ইলিমান এনদিয়ায়ে। তবে তারা পুরো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেননি।
অবিশ্বাস্য হলেও এই ধরনের ঘটনা নতুন নয়। প্রিমিয়ার লিগে আগে ২০০৫, ২০০৮ সালেও সতীর্থদের মধ্যে হাতাহাতি বা চড় মারার ঘটনা ঘটেছিল। তবে প্রিমিয়ার লিগের ১৭ বছরের মধ্যে সতীর্থের সঙ্গে মারামারি করে লাল কার্ড পাওয়া প্রথম খেলোয়াড় গুয়ে।
গুয়ের আগে ২০০৮ সালে স্টোক সিটির রিকার্ডো ফুলার সতীর্থ ও অধিনায়ক অ্যান্ডি গ্রিফিনকে চড় মারার কারণে লাল কার্ড দেখেছিলেন। আর ২০০৫ সালে নিউক্যাসল সতীর্থ লি বোয়ার ও কিয়েরন ডায়ারের মধ্যে হাতাহাতি ঘটনা ঘটেছিল।
গুয়ে মাঠ ছাড়ার সময় স্কোর ছিল ০-০। এরপর ১০ জনের দল নিয়ে খেলতে থাকা এভারটন ২৯ মিনিটে কিয়েরনান ডিউসবুরি-হলের গোলে এগিয়ে যায়। এতেই শেষ পর্যন্ত ঘরের মাঠে হেরেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
ম্যাচ শেষে সামাজিক মাধ্যমে ক্ষমা চেয়ে গুয়ে লিখেছেন, ‘আমি আমার সতীর্থ মাইকেল কিনের কাছে ক্ষমা চাই। নিজের প্রতিক্রিয়ার পুরো দায় আমার। সতীর্থ, স্টাফ, ক্লাব ও ভক্তদের কাছেও ক্ষমা চাইছি। আমি নিশ্চিত করছি এমন ঘটনা আর হবে না।’
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ঘরের মাঠে হারে ১২ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে ইউনাইটেড এখন পয়েন্ট টেবিলের ১০ নম্বরে। অন্যদিকে সমান ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে ১১ নম্বরে এভারটন।

স্পোর্টস ডেস্ক