আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে কাল শুরু হচ্ছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ
লাল বলের ব্যস্ততা শেষে আবারও সাদা বলের ক্রিকেটে ফিরছে বাংলাদেশ। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামছে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে। ফরম্যাট বদলালেও লক্ষ্য একই বাংলাদেশের। টেস্ট সিরিজের মতো টি-টোয়েন্টি সিরিজও বাগিয়ে নিতে চায় বাংলাদেশ। সেই লক্ষ্যে প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে দুই দল।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা ৬টায় মাঠে নামবে বাংলাদেশ এবং আয়ারল্যান্ড। খেলা দেখা যাবে টি-স্পোর্টস ও নাগরিক টিভিতে। অনলাইনে ট্যাপম্যাড অ্যাপ এ।
গত কয়েক মাসে দুর্দান্ত সময় পার করেছে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দল। এই সময়ে জিতেছে কয়েকটি সিরিজ। তবে সর্বশেষ সিরিজটি ভালো যায়নি বাংলাদেশের। চট্টগ্রামের এই মাঠেই গত মাসে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে।
আয়ারল্যান্ড অবশ্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের চেয়ে অনেকটাই নিচের সারির দল। তবুও বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জ আবারও জয়ে ফেরা। সেজন্য দায়িত্ব নিতে হবে ব্যাটারদের। গত সিরিজে যেটি করতে পারেননি সাইফ হাসান-লিটন দাসরা। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সেটি করতে হবে তাদের।
পরিসংখ্যান এগিয়ে রাখছে বাংলাদেশকে। এখন পর্যন্ত মোট ৮ বার টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ আর আয়ারল্যান্ড। এর মধ্যে টাইগারদের জয় ৫টি ম্যাচে। ২টি ম্যাচ জিতেছে আইরিশরা আর একটি ম্যাচ ড্র হয়েছে।
তবে আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে খেলা সর্বশেষ ম্যাচটিতে সুখকর স্মৃতি ছিল না বাংলাদেশের জন্য। ২০২৩ সালে চট্টগ্রামে ৩ ম্যাচের সিরিজ জিতলেও শেষ ম্যাচে ৭ উইকেটে হেরেছিল বাংলাদেশ। তাই সবমিলিয়ে এ ম্যাচে বাংলাদেশের জন্য চাপ থাকবে জয়ে ফেরার।
চট্টগ্রামের উইকেট ব্যাটিং সহায়ক হলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এখানেই রান খরায় পুড়েছিল বাংলাদেশের ব্যাটাররা। তিন ম্যাচে মোটে একবার দেড়শ পার করতে পেরেছিল, সেটিও ছিল ১৫১ রানের ইনিংস। সেই ম্যাচ ১৬.৫ ওভারে ৫ উইকেট হাতে রেখেই জিতে নিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষেও উইকেটে কোনো পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা নেই। এতে বলা যায়, এ সিরিজে ব্যাটহাতে রানের ফুলঝুড়ি ফোটাতে হবে ব্যাটারদের। দায়িত্ব নিতে হবে টপঅর্ডার ব্যাটারদের। অন্যদিকে, মিডল অর্ডারে যেই সমস্যা আছে সেটিও কাটিয়ে উঠতে হবে।
চট্টগ্রামের ব্যাটিং সহায়ক উইকেটের কথা চিন্তা করে বাংলাদেশ একাদশ সাজাতে পারে তিন পেসার আর দুই স্পিনারের সমন্বয়ে। সেক্ষেত্রে মুস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে পেস ইউনিটে দেখা যেতে পারে তানজিম হাসান সাকিব আর শরিফুল ইসলামকে। স্পিনে বাংলাদেশের ভরসা হতে পারে রিশাদ হোসেনের ওপর। তার সঙ্গে নাসুম কিংবা শেখ মেহেদীর মধ্যে কোনো একজনের ওপর।
টপঅর্ডার ব্যাটিংয়ে কোনো পরিবর্তন আসছে না। ওপেনিংয়ে সাইফ হাসানের সঙ্গী তানজিদ হাসান তামিম। ৩ নম্বরে আসতে পারেন লিটন দাস। এরপর তাওহীদ হৃদয়। পাঁচ ও ছয় নম্বর পজিশন নিয়েই বাংলাদেশের যত মাথাব্যাথ্যা। দল ঘোষণার সময় প্রধান নির্বাচক বলেছিলেন, এখানে খেলানোর জন্য স্কোয়াডে নেওয়া হয়েছে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকে।
অঙ্কনের অভিষেক হলে তার সঙ্গে দেখা যেতে পারে জাকের আলী কিংবা নুরুল হাসান সোহানের মধ্যে একজনকে। তবে জাকেরের খেলার সম্ভাবনাই বেশি।
বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড :
লিটন দাস (অধিনায়ক), সাইফ হাসান (সহ-অধিনায়ক), তানজিদ হাসান, পারভেজ হোসেন ইমন, তাওহিদ হৃদয়, জাকের আলী অনিক, নুরুল হাসান সোহান, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, শেখ মেহেদী, রিশাদ হোসেন, নাসুম আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, তানজিম হাসান সাকিব, শরিফুল ইসলাম, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।

স্পোর্টস ডেস্ক