২০১৮ সালে মঙ্গলে যেতে চায় স্পেসএক্স
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2016/04/29/photo-1461927365.jpg)
মঙ্গলে রকেট পাঠাতে খুব বেশি দেরি করতে চান না স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী এলন মুস্ক। তাঁদের ‘ড্রাগন’ নভোযান ২০১৮ সালেই পৃথিবী ছেড়ে মঙ্গলের উদ্দেশে রওনা হতে যাচ্ছে। ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা বিবিসি তাদের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
মুস্ক এর আগে জানিয়েছিলেন, ২০২৬ সালের মধ্যে মনুষ্যবাহী নভোযান নিয়ে মঙ্গল অভিমুখে যাত্রার কথা। তাঁর প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স মঙ্গলে বেশ বড় কিছু অভিযান চালানোর ব্যাপারে গবেষণা করছে।
এক টুইটে মুস্ক জানান, তাঁদের ‘ড্রাগন ২’ মহাকাশযান সৌরজগতের যে কোনো স্থানে অবতরণ করার ক্ষমতা রাখে। তবে নভোচারী নিয়ে ‘ড্রাগন ২’-এর উড়াল দেওয়া ঠিক কাজের হবে না বলেই মনে করেন মুস্ক। কারণ পুরো মহাকাশযানে একটা বড়সড় গাড়ির সমপরিমাণ জায়গা বরাদ্দ থাকবে মহাকাশচারীদের জন্য।
মহাকাশ অভিযানের ক্ষেত্রে দারুণ এক যুগের সূচনা করেছে মুস্কের স্পেসএক্স। রকেট নির্মাণের বিষয়ে নাসার সঙ্গে তাদের চুক্তি হয়েছে।
অন্যদিকে মার্কিন এয়ারফোর্সের জন্য জিপিএস স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের চুক্তিও সেরে ফেলেছে স্পেসএক্স। গত এক দশক ধরে এ কাজে এয়ার ফোর্সকে সাহায্য করে আসছে লোকহিড মার্টিন ও বোয়িং।
অন্যদিকে স্পেসএক্সের আরো একটি সাফল্য এসেছে রকেট অবতরণের ক্ষেত্রে। ভূমি থেকে উৎক্ষেপণের পর ঠিক একই জায়গায় সফলভাবে অবতরণ করে তাদের ‘ফেলকন-৯’ রকেট।
মহাকাশযানের ক্ষেত্রে এটি একটি বড় অগ্রগতি। খরচের দিকে বেশ সাশ্রয়ী। এর আগে নাসার স্পেস শাটল অবতরণের ক্ষেত্রে সাধারণ বিমানের পথ অনুসরণ করত। দীর্ঘ ব্যবহারের পর নাসা তাদের স্পেস শাটল বন্ধ করে দিয়েছে।