বিজ্ঞানীদের জানা গাছের প্রজাতি প্রায় চার লাখ
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2016/05/10/photo-1462853387.jpg)
বিজ্ঞানীদের জানা গাছের প্রজাতির সংখ্যা তিন লাখ ৯০ হাজার ৯০০। এর মধ্যে গত বছরই আবিষ্কার হয়েছে দুই হাজার ৩৪ প্রজাতির গাছ। তবে মোট গাছের প্রজাতির ২১ শতাংশই আছে বিলুপ্তির ঝুঁকিতে। যুক্তরাজ্যের গবেষকরা গাছের সংখ্যা গোনার এক গবেষণায় এসব তথ্য জানান।
পৃথিবীর সর্বাধিক সংখ্যক গাছের প্রজাতি নিয়ে গড়া যুক্তরাজ্যের কিউয়ের রয়্যাল বোটানিক গার্ডেন (আরবিজি) কর্তৃপক্ষ গণনার কাজটি করেছে।
বিজ্ঞানীরা জানান, জলবায়ু পরিবর্তন, আবাসভূমি ধ্বংস, রোগ এবং দখলকারী ভিন্ন প্রজাতির কারণে গাছের মোট প্রজাতির ২১ শতাংশই এখন বিলুপ্তির ঝুঁকিতে আছে।
কিউ আরবিজি পরিচালক ক্যাথি উইলিস বলেন, পৃথিবীর গাছের মোট প্রজাতির সংখ্যা জানা গুরুত্বপূর্ণ। একইভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন প্রজাতির গাছের আবাসভূমি, বিভিন্ন গাছের প্রজাতির মধ্যে সম্পর্ক জানা। পৃথিবীর মানুষের সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্যই এই জ্ঞান প্রয়োজন। গাছ মানুষকে খাদ্য, জ্বালানি ও ওষুধ দেয় এবং নিয়ন্ত্রণ করে পৃথিবীর জলবায়ু।
গবেষকরা বৃক্ষ গণনার কাজে পুরোনো তথ্যভাণ্ডারের সহায়তা নেন। পুরোনো তথ্যে অনেক গাছের নাম কয়েকবার লেখা হয়েছিল। আবার অনেক গাছকে ভিন্ন ভিন্ন নামে নথিভুক্ত করেছিলেন বিভিন্ন গবেষক। গবেষকরা এসব বিষয়ের সমাধান করেন।
গবেষকদের নতুন গণনা অনুযায়ী, গাছের মোট প্রজাতির মধ্যে প্রায় তিন লাখ ৬৯ হাজার ৪০০ প্রজাতিই সপুষ্পক। গবেষক ক্যাথি উইলিস বলেন, প্রকৃত সংখ্যা এর বেশিও হতে পারে।
গবেষকরা বলেন, গত বছর আবিষ্কৃত দুই হাজার ৩৪টি নতুন প্রজাতির মধ্যে বড় বৃক্ষ থেকে শুরু করে পেঁয়াজ প্রজাতির উদ্ভিদও আছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশিত ছবি থেকেও নতুন প্রজাতির পোকাভুক একটি গাছের প্রজাতি আবিষ্কার হয়। নতুন প্রজাতির বৃক্ষ আবিষ্কারে মূলত ভূমিকা রেখেছেন চীন, অস্ট্রেলিয়া ও ব্রাজিলের গবেষকরা।
কিউ আরবিজির গবেষকরা বলেন, ম্যানগ্রোভ বন ধ্বংসের সঙ্গে সঙ্গে অনেক প্রজাতি গাছও হারিয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া কীটপতঙ্গ ও গৃহপালিত প্রাণীও গাছের বড় শত্রু। চাষ হয় ও লাভজনক এমন কয়েকটি গাছের প্রজাতি ছাড়া অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ক্ষতিকারক কীটপতঙ্গ নিয়ে কোনো গবেষণা হয় না।