মেসেজিং অ্যাপে প্রবাস জীবনে স্বস্তি
বাংলাদেশের অনেক মানুষই চাকরি, পড়াশোনা কিংবা দীর্ঘমেয়াদী অভিবাসনের লক্ষ্যে প্রবাস জীবন বেছে নেন। ব্যক্তিভেদে উদ্দেশ্য ভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। কেউ বিদেশে যান উন্নত জীবনযাত্রার জন্য, কারও উদ্দেশ্য থাকে বিশ্বমানের শিক্ষা অর্জন, আবার কারও ইচ্ছা থাকে রেমিট্যান্স পাঠানোর মাধ্যমে পরিবারকে আর্থিকভাবে সচ্ছল করে তোলা।
তবে, এই স্বপ্নগুলো পূরণ করতে গিয়ে অনেক সময়ই যে মানসিক ও সামাজিক মূল্য চুকাতে হয় প্রবাসীদের, তা বরাবর আড়ালেই থেকে গেছে। এ নিয়ে আলোচনাও হয় না খুব একটা। নতুন ধরনের খাবার, আরেকটি দেশের সামাজিক রীতি-নীতি এবং নতুন জীবনধারার সঙ্গে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে বেশ বেগ পেতে হয় অনেক প্রবাসীকে। এতে চলে যায় অনেকটা সময়। ফলে, প্রবাসীদের অনেকে প্রায়ই সংস্কৃতি-সংঘাতে ভোগেন। নিজেদের এই পরিবর্তিত পরিবেশে ‘বেমানান’ মনে করেন। প্রিয়জনদের থেকে দূরত্বের ফলে একাকিত্ব ও হতাশায় ভোগেন।
এর ফলে, তাদের আত্মবিশ্বাসে ভাটা পড়ে এবং মানসিক স্বাস্থ্যেরও অবনতি ঘটে। অন্যদিকে, দেশে রেখে যাওয়া প্রিয়জনদের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারলে প্রবাসীরা অনেকাংশেই উদ্বেগ কমিয়ে অনুপ্রাণিত থাকতে পারেন। সাংস্কৃতিক বিচ্ছিন্নতা মোকাবিলা করতে পারেন অপেক্ষাকৃত দ্রুত সময়ে। গত কয়েক বছর ধরে এই সংযোগ তৈরি করার এক গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে হয়ে উঠেছে ইমোর মতো অ্যাপ। এর মাধ্যমে প্রতিদিন ভিডিও কলে কাছের মানুষকে দেখতে পাওয়া, দ্রুত ভয়েস নোট পাঠানো কিংবা মন চাইলেই যেকোনো ছবি শেয়ার করার মতো সুবিধাগুলো প্রবাসীদের কাছে অমূল্য পাওয়া।
অনেক প্রবাসীর পরিবার এমন এলাকায় থাকেন, যেখানে নেটওয়ার্কের মান খুবই দুর্বল। ইমো অ্যাপ টুজি এবং থ্রিজি অপ্টিমাইজড হওয়ায় দুর্বল নেটওয়ার্ক এলাকাতেও নির্বিঘ্নে বিদেশে কথা বলা যায়। যেকোনো প্রবাসীর জন্যই সারা দিনের কাজের শেষে মায়ের কণ্ঠ শুনতে পারা, ভিডিও কলে সন্তানের হাসি দেখতে পাওয়া কিংবা ভাই-বোনের সঙ্গে খুনসুটি করতে পারার মতো ছোট ছোট মুহূর্তগুলো বিশাল মানসিক শক্তি জোগায়। সত্যিকার অর্থেই, প্রযুক্তি এখন দেশ, সংস্কৃতি ও দূরত্বের সীমানা পেরিয়ে মানুষকে মানুষের সঙ্গে সংযুক্ত করছে নিবিড়ভাবে।

এনটিভি অনলাইন ডেস্ক