ইউক্রেনে শান্তি ফেরাতে ‘গভীর আগ্রহ’ প্রকাশ চীন-বেলারুশের
ইউক্রেন সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য ‘গভীর আগ্রহ’ প্রকাশ করেছে চীন ও বেলারুশ। চীনের প্রেসিডেন্ট ও রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো বেইজিংয়ে এক বৈঠকের পর দেওয়া বিবৃতিতে এ তথ্য জানান। খবর বিবিসির।
লুকাশেঙ্কো বলেন, ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধের জন্য বেইজিংয়ের পরিকল্পনাকে ‘পুরোপুরি সমর্থন’ করে বেলারুশ।
গত সপ্তাহে জাতিগত সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান অক্ষুণ্ণ রাখার আহ্বান জানিয়ে শান্তি আলোচনার পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে চীন। এই শান্তি পরিকল্পনার প্রশংসা করেন বেলারুশের নেতা।
গতকাল বুধবার ( ১ মার্চ ) বেলারুশের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বেল্টা জানায়, ইউক্রেন সংঘর্ষ নিয়ে গভীর উদ্বেগ এবং যত দ্রুত সম্ভব শান্তি প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে চরম আগ্রহ প্রকাশ করেছে চীন ও বেলারুশ।
চীনের ১২ দফার শান্তি পরিকল্পনার নথিতে ‘সব দেশের সার্বভৌমত্বের’ প্রতি সম্মান জানানোর আহ্বান জানানো হয়েছে। কিন্তু এতে স্পষ্টভাবে রাশিয়াকে ইউক্রেন থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করার বিষয়ে বলা হয়নি। তবে, এতে একতরফা নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার নিন্দা জানানো হয়েছে, যার মাধ্যমে ইউক্রেনের পশ্চিমা মিত্রদের পরোক্ষ সমালোচনা করা হয়।
আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো চীনের প্রেসিডেন্টকে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার বিষয়ে আপনি যে পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছেন, তা সম্পূর্ণরূপে সমর্থন করি।’
লুকাশেঙ্কো বলেন, রাজনৈতিক সিদ্ধান্তগুলোর প্রথম ও প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত—বিশ্বব্যাপী সংঘর্ষের দিক থেকে একটি পক্ষকে সরিয়ে আনা, যেখানে কেউ জয়ী হবে না।
লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে বৈঠকে ‘সব ধরনের শীতল যুদ্ধের মানসিকতা’ পরিত্যাগের আহ্বান জানান চীনের প্রেসিডেন্ট। শি বলেন, ‘দেশগুলোকে বৈশ্বিক অর্থনীতিকে রাজনীতিকরণ বন্ধ করতে হবে এবং এমন কিছু করা উচিত—যা যুদ্ধবিরতি, যুদ্ধ বন্ধ এবং শান্তিপূর্ণ সমাধানে সহায়তা করবে।’
এর আগে, চীনের এই শান্তি পরিকল্পনার ব্যাপারে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, তিনি শান্তি পরিকল্পনার কিছু অংশের সঙ্গে একমত। শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করতে চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করতে চান তিনি।