ইউক্রেন ছেড়েছে অন্তত ১০ লাখ মানুষ : জাতিসংঘ
রাশিয়ার ‘সেনা অভিযানের’ পর সাত দিনে এখন পর্যন্ত অন্তত ১০ লাখ মানুষ ইউক্রেন ছেড়ে প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়ার সেনা অভিযানের পর মাত্র এক সপ্তাহে এত মানুষ দেশ ছেড়েছেন। এর আগে ২০১৫ সালে ইউরোপে শরণার্থী সংকটে পড়েছিল ১৩ লাখ মানুষ। সে সময় যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া ছাড়াও আফগানিস্তান, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, ইরাক, ইরিত্রিয়াসহ অন্যান্য দেশ থেকে বিপুল মানুষ ইউরোপে আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেছিল। কিন্তু, ইউক্রেনে রাশিয়ার সেনা অভিযানের পর শরণার্থী সংকটে পড়া ভুক্তভোগীর সংখ্যা মাত্র এক সপ্তাহেই এর কাছাকাছি চলে এসেছে।
জাতিসংঘের পক্ষ থেকে ধারণা করা হচ্ছে—ইউক্রেন পরিস্থিতিতে এক কোটি ২০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হতে পারে এবং এ জন্য ত্রাণের প্রয়োজন হবে।
এদিকে, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে নিন্দা প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। খবর ভয়েস অব আমেরিকার।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ স্থানীয় সময় বুধবার ইউক্রেনে রুশ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এবং রাশিয়ার সেনাদের অবিলম্বে সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করার আহ্বান জানিয়েছে।
মস্কোর সামরিক বাহিনী ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি শহরে বিমান ও সেনাবাহিনী নিয়ে হামলা করার প্রায় এক সপ্তাহ পর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ শান্তির জন্য ঐক্যের প্রশ্নে এক ভোটাভুটির আয়োজন করে। সাধারণ পরিষদের ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ১৮১টি দেশ ওই ভোটে অংশ নেয়। এর মধ্যে, ১৪১টি দেশ মস্কোর নিন্দা প্রস্তাবকে সমর্থন করে। রাশিয়া এবং তার মিত্রদল—বেলারুশ, সিরিয়া, উত্তর কোরিয়া, ইরিত্রিয়াসহ পাঁচটি দেশ ছিল প্রস্তাবের বিপক্ষে। এ ছাড়া বাংলাদেশসহ ৩৫ দেশ ভোটদানে বিরত থাকে। তবে, তা নিন্দা প্রস্তাবের জন্য প্রয়োজনীয় দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতাকে প্রভাবিত করেনি।
চীন, ইরান, নিকারাগুয়া, কিউবা, পাকিস্তানসহ ঐতিহ্যগতভাবে মস্কোর সঙ্গে জোটবদ্ধ কিছু দেশ ভোটদানে বিরত ছিল। তবে, রাশিয়ার পক্ষেও কিছু সমর্থক ছিল।