ইরান সফরে যাচ্ছেন পুতিন, সঙ্গে থাকবেন এরদোয়ান
ইউক্রেনে যুদ্ধ চালানোর মধ্যেই ইরান সফরে যাচ্ছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আগামী সপ্তাহে এ সফর অনুষ্ঠিত হবে। খবর আল-জাজিরার।
ক্রেমলিনের এক ঘোষণায় বলা হয়েছে, তেহরানে সিরিয়া নিয়ে আয়োজিত এক সম্মেলনে যোগ দেবেন পুতিন। সম্মেলনে রুশ প্রেসিডেন্টের পাশাপাশি ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রায়িসি এবং তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান উপস্থিত থাকবেন।
মঙ্গলবার ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকোভ বলেন, ‘১৯ জুলাই প্রেসিডেন্টের তেহরান সফরের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।’
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সিরিয়ায় চলা ১১ বছরের যুদ্ধ অবসানে কথিত ‘আসটানা শান্তি প্রক্রিয়ার’ অংশ হিসেবে কয়েক বছর ধরে আলোচনা চালাচ্ছে রাশিয়া, তুরস্ক ও ইরান। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের মূল সামরিক ও রাজনৈতিক সমর্থক রাশিয়া ও ইরান।
এ ছাড়া, আসাদ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়া ফ্রি সিরিয়ান আর্মি ও অন্যান্য বিদ্রোহী গ্রুপগুলোকে এখনও সামরিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে তুরস্ক।
গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর পর এ নিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো বিদেশ সফরে যাচ্ছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর আগে জুনের শেষ দিকে তাজিকিস্তান সফর করেন পুতিন।
রাশিয়া ও ইরানের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ। আর ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালনের চেষ্টা করছে তুরস্ক।
মঙ্গলবার ক্রেমলিনের ঘোষণার আগে গত সোমবার হোয়াইট হাউজ জানায়, তাদের বিশ্বাস ড্রোন পেতে ইরানের সহায়তা চেয়েছে মস্কো। ইউক্রেনে ব্যবহারের জন্য অস্ত্র বহনে সক্ষম এসব ড্রোন রাশিয়া চেয়েছে বলে বিশ্বাস করার কথা জানায় হোয়াইট হাউস।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভ্যান বলেন, ইরান এসব ড্রোন রাশিয়াকে সরবরাহ করবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে তিনি বলেন, ওয়াশিংটনের কাছে থাকা তথ্যে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে রুশ বাহিনীকে এসব ড্রোন ব্যবহারের প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইরান।
তবে, অনেক বিশ্লেষকই হোয়াইট হাউজের ইঙ্গিতের বিষয়ে সন্দেহ পোষণ করেছেন।