ইসরায়েলের সঙ্গে সব ফ্লাইট বাতিল ইউরোপীয় এয়ারলাইনগুলোর
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2021/05/14/46607_0.jpg)
ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘর্ষের জেরে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ইসরায়েলের প্রধান বিমানবন্দর বেন গুরিওন। সেখানকার সব ফ্লাইট রামন বিমানবন্দরে সরিয়ে নিয়েছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। কিন্তু গতকাল বৃহস্পতিবার ওই বিমানবন্দরেও আঘাত হেনেছে ফিলিস্তিনিদের ছোড়া রকেট।
ক্রমবর্ধমান এই হামলা-পাল্টা হামলার জেরে তেল আবিবের সঙ্গে সব ফ্লাইট বাতিল করেছে ইউরোপীয় এয়ারলাইনগুলো। এর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাজের ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ, ভার্জিন আটলান্টিক, জার্মানির লুফথানসা, স্পেনের আইবেরিয়া, ডেল্টা এয়ারলাইনস, আমেরিকান এয়ারলাইনস ও ইউনাইটেড এয়ারলাইনস। এসব এয়ারলাইনস চলমান সহিংসতার কারণে ইসরায়েলে যেতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। খবর ডয়েচে ভেলে ও রয়টার্সের।
জার্মানির লুফথানসা বলেছে, বর্তমান পরিস্থিতির কারণে তারা তেল আবিবগামী সব ফ্লাইট বন্ধ রাখবে।
ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ জানিয়েছে, সহকর্মী ও যাত্রীদের সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা তাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ইসরায়েলের পরিস্থিতির দিকে সতর্ক নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে তারা।
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/infograph/public/images/2021/05/14/capture_0.jpg 670w)
ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ ও ভার্জিন আটলান্টিকের জন্য এই সিদ্ধান্ত বেশ কঠিন ছিল। কিছুদিন আগেই করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় ভ্রমণের সবুজ তালিকাভুক্ত হাতেগোনা কয়েকটি অঞ্চলের মধ্যে ইসরায়েলকেও অন্তর্ভুক্ত ঘোষণা করেছে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ। ফলে এসব ফ্লাইট বাতিলে ব্রিটিশ এয়ারলাইনগুলোর বড় অঙ্কের আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে।
এদিকে সংঘাতের কারণে ইসরায়েল ভ্রমণে সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে চলমান পরিস্থিতির কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।