এক বছরে ১০৭ কোটি ডলারের ক্রিপ্টোকারেন্সি চুরির রেকর্ড উত্তর কোরিয়ার হ্যাকারদের!
এক বছরে উত্তর কোরিয়া সমর্থিত হ্যাকাররা ১০৭ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের ভার্চুয়াল মুদ্রা ক্রিপ্টোকারেন্সি চুরি করেছে। গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে এই রেকর্ড গড়ে তারা। নিউ ইয়র্ক ভিত্তিক ক্রিপ্টোকারেন্সি বিষয়ক প্রতিষ্ঠান চেইন্যালাইসিস এ তথ্য জানিয়েছে। খবর বিবিসির।
প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যমটি জানায়, ২০২১ সালে অন্তত সাতটি সাইবার হামলা চালিয়ে ৪২ কোটি ৯০ লাখ ডলার মূল্যের ক্রিপ্টোকারেন্সি চুরি করে রেকর্ড করেছিল। তবে বছর না ঘুরতেই সেই রেকর্ড ভেঙেছে হ্যাকাররা।
চেইন্যালাইসিসের তথ্য মতে, গত বছরে বিশ্বজুড়ে হ্যাকাররা ৩০৮ কোটি ডলার মূল্যের ক্রিপ্টোকারেন্সি চুরি করেছে। এর ৪৪ শতাংশ করেছেই উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা। এই বছরটিকে ক্রিপ্টোকারেন্সি হ্যাকিংয়ের সবচেয়ে বড় বছর বলে আখ্যা দিয়েছে ফার্মটি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেসব দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞার কবলে রয়েছে সেসব দেশের হ্যাকাররা ভাচুর্য়াল মুদ্রা হ্যাকিংয়ের দিকে ঝুঁকছে। চুরিকৃত অর্থ পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে ব্যবহার করছে দেশগুলো।
বিবিসি বলছে, এ পর্যন্ত ছয়টি পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে পিয়ংইয়ং। উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উনের অধীনে সপ্তম পরীক্ষাটি তারা চালিয়েছে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের। অর্থনৈতিক দুরবস্থার মধ্যেও ২০২২ সালে রেকর্ড ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রসহ সল্পপাল্লা ও দূর পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে তারা।
বুধবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে চেইন্যালাইসিস বলে, ২০২০ সালে ১৪ কোটি ২০ লাখ ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করেছে। ভার্চুয়াল মুদ্রার মাধ্যমে তারা তাদের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে চাচ্ছে। আর এই মুদ্রা তারা হ্যাকিঙয়ের মাধ্যমে জোগাড় করছে।
আর্থিক বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ও কেন্দ্রিভূত ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থাতেই মূলত সাইবার হামলা চালায় হ্যাকাররা। এর জন্য তারা ফিশিং, ম্যালওয়্যার এবং সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংসহ বিভিন্ন কৌশল প্রয়োগ করে। চেইন্যালাইসিসের তথ্যানুযায়ী, এসব চুরির বেশিরভাগই করেছে ল্যাজারাস গ্রুপ। এই গ্রুপটি উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।