করোনাভাইরাসে চীনের বাইরে প্রথম মৃত্যু

এবার প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ফিলিপাইনে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার দেশটির রাজধানী ম্যানিলায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁর। এই প্রথম প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চীনের বাইরেও মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিলিপাইনে মৃত ৪৪ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি সম্প্রতি করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল হিসেবে পরিচিত চীনের হুবেই প্রদেশে উহান শহর থেকে দেশে ফিরেছিলেন।
ফিলিপাইনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি রবীন্দ্র আবেয়াসিংহে জানান, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চীনের বাইরে এটিই প্রথম মৃত্যুর খবর। তিনি বলেন, ‘আমাদের মনে রাখতে হবে, নিহত ব্যক্তি স্থানীয়ভাবে আক্রান্ত হননি। তিনি এ ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল থেকে এসেছিলেন।’
ফিলিপাইনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফ্রান্সিসকো দুকে জানান, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ওই ব্যক্তি গত ২৫ জানুয়ারি ম্যানিলার একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। কয়েকদিন ধরে তাঁর অবস্থা কিছুটা ভালো থাকলেও গত ২৪ ঘণ্টায় তাঁর অবস্থার অবনতি হয়।’
এরই মধ্যে চীনে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০৪ জনে। এ ছাড়া আজ রোববার শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন অন্তত সাড়ে ১৪ হাজার মানুষ। পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে লাখখানেক চীনা নাগরিককে।
এদিকে, প্রাণঘাতী এ ভাইরাস চীন ছাড়াও ছড়িয়ে পড়েছে অন্তত ২০টিরও বেশি দেশে। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি দেশ জানিয়েছে, চীন ভ্রমণকারী বিদেশিরা সেসব দেশে প্রবেশ করতে পারবেন না। অস্ট্রেলিয়া, জাপান, পাকিস্তান, ইতালি, যুক্তরাষ্ট্র ও সিঙ্গাপুর এ পদক্ষেপ নিয়েছে।
এদিকে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় চিকিৎসা সরঞ্জামের অপ্রতুলতার কারণে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে চিকিৎসা সরঞ্জাম পাঠানোর সহায়তা চেয়েছেন। অন্যদিকে, চীনের মূল ভূখণ্ডে ৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নিজেদের সব অফিশিয়াল শোরুম ও করপোরেট কার্যালয় বন্ধ করছে আইফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাপল। শনিবার এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দেয় মার্কিন এই প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান।
এদিকে, ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থল হিসেবে পরিচিত চীনের হুবেই প্রদেশের উহান নগরীতে সবচেয়ে বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এরই মধ্যে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশ উহান থেকে তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে আনছে। এ ছাড়া চীনের সঙ্গে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে একের পর এক আন্তর্জাতিক ফ্লাইট।