করোনার উৎস তদন্তে চীনে পৌঁছাল ডব্লিউএইচওর বিশেষজ্ঞ দল
বৈশ্বিক মহামারি নভেল করোনাভাইরাসের উৎস তদন্তে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে পৌঁছেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) একটি আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ দল। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ১০ সদস্যের ওই বিশেষজ্ঞ দলটি উহানে পৌঁছায়। সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, তদন্ত শুরু করার আগে দুই সপ্তাহ কোয়ারেন্টিনে থাকবেন বিশেষজ্ঞরা। এরপর ২০১৯ সালের শেষের দিকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের সময় সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ও বাজারের লোকজনদের সাক্ষাত্কার নেবেন তাঁরা।
এদিকে, এতদিন চীন কর্তৃপক্ষের অনুমতি না পাওয়ায় ডব্লিউএইচওর বিশেষজ্ঞ দলটির চীনে গিয়ে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত তদন্ত কার্যক্রম শুরু করতে দেরি হচ্ছিল। তদন্ত দলটির চীনে প্রবেশে বিলম্ব হওয়ার বিষয়টিকে ‘ভুল বোঝাবোঝি’ বলছে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এর আগে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের উহান শহরে ২০১৯ সালের শেষদিকে সর্বপ্রথম নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণের খবর পাওয়া যায়। চীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তারা করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ার পর প্রাথমিক পদক্ষেপ নিতে দেরি করায় ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছিল।
এদিকে ডব্লিউএইচওর নেতৃত্বাধীন বিশেষজ্ঞ দলটিকে চীনে ‘স্বচ্ছ’ তদন্ত পরিচালনা করার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সেইসঙ্গে ওই বিশেষজ্ঞ দল চীনে পৌঁছানোর আগেই চীনের বিজ্ঞানীদের প্রাথমিক তদন্তের অনুমতি দেওয়ায় সংস্থাটির সমালোচনাও করেছে দেশটি।
রয়টার্স বলছে, ডব্লিউএইচওর তদন্ত দল আসার আগে আগে চীন কর্তৃপক্ষ নিজেদের মতো করে পরিস্থিতি গোছানোর চেষ্টা করছে। করোনার মহামারি কখন ও কোথায় শুরু হয়েছিল, তা নিয়ে নতুন করে বক্তব্য দেন চীনের জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক ওয়াং ওয়াই। তিনি বলেন, ‘অনেক অনেক গবেষণায়’ দেখা গেছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উহান ছাড়াও আরো অনেক অঞ্চলে দেখা গিয়েছিল।
এদিকে, বিশ্বের বহু দেশ যেখানে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে, চীন ভাইরাসটির সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই রেখেছে।
তবে, এখনো চীন পুরোপুরি করোনামুক্ত হতে পারেনি। চীনের মূল ভূখণ্ডে গত রোববার পাঁচ মাসের মধ্যে সর্বাধিক ১০৩ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়। এ ছাড়া চীনের রাজধানী বেইজিং ঘিরে রাখা হেবেই প্রদেশে নতুন করে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে বলে রয়টার্স জানিয়েছে।