করোনার টিকাদানে তরুণদের অগ্রাধিকার, প্রশ্নের মুখে ইন্দোনেশিয়া
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2021/01/13/indonesia.jpg)
ইন্দোনেশিয়া আজ বুধবার থেকে নভেল করোনাভাইরাসের টিকা প্রয়োগ শুরু করেছে। টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে শুরুতেই তরুণদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। প্রশ্নের মুখে পড়েছে দেশটির সরকারের এই নীতি। সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার খবরে এমনটি জানানো হয়েছে।
বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, করোনায় যেহেতু বয়োজ্যেষ্ঠরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে, সেখানে তরুণদের অগ্রাধিকার দিয়ে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটানো যাবে না।
করোনার টিকাদান কর্মসূচি শুরু করার পর যুক্তরাজ্যে প্রথম করোনার টিকা নেন ৯০ বছর বয়সী একজন অবসরপ্রাপ্ত নারী। কানাডায় প্রথম যিনি করোনার টিকা নেন তিনি ৮৯ বছর বয়সী। আর জার্মানিতে প্রথম টিকা নিয়েছেন ১০১ বছর বয়সী নার্সিং হোমের বাসিন্দা।
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2021/01/13/indonesia-1.jpg)
কিন্তু আট লাখ ৩৬ হাজারের বেশি করোনায় আক্রান্ত এবং ২৪ হাজারের বেশি মৃত্যু হওয়া ইন্দোনেশিয়া করোনার টিকাদানের ক্ষেত্রে ভিন্ন নীতি অবলম্বন করেছে। প্রথম ধাপে মার্চের শেষ নাগাদ ১৩ লাখ স্বাস্থ্যকর্মী এবং এক কোটি ৭৪ লাখ সরকারি চাকরিজীবীদের চীনের সিনোভ্যাক বায়োটেকের তৈরি টিকা করোনাভ্যাক দেওয়া হবে। এরপর করোনার টিকা পাবেন বয়োজ্যেষ্ঠরা।
ইন্দোনেশিয়ার বহু মানুষ এই নীতির সমর্থন করলেও বিশেষজ্ঞেরা এর সমালোচনা করছেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাদিয়া উইকেকো আলজাজিরাকে বলেন, ‘বয়োজ্যেষ্ঠদের পাশাপাশি উৎপাদনশীল জনশক্তির কথা মাথায় রেখে ১৮ থেকে ৫৯ বছর বয়সীদের টিকা দিচ্ছি। আমরা বয়োজ্যেষ্ঠদের শরীরে সিনোভ্যাকের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল করিনি।’
ইন্দোনেশিয়া সরকারের টিকাদান নীতির পক্ষে যাঁরা যুক্তি দিচ্ছেন, তাঁরা বলছেন, ‘ইন্দোনেশিয়ায় বয়স্কদের বেশির ভাগ ঘরেই থাকেন। কর্মজীবীদের ক্ষেত্রে করোনাভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা বেশি।