করোনায় যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিদিন সহস্রাধিক মৃত্যু, শাটডাউনের পরামর্শ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের

চারদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রে নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দৈনিক সহস্রাধিক প্রাণ ঝরছে। এমন পরিস্থিতিতে শিশুদের স্কুলে পাঠানো ঠিক হবে কি না, এ নিয়ে চরম বিতর্কে মাঝে দেশটি পুরোপুরি শাটডাউনে নিতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
সংবাদমাধ্যম সিএনএনেরর খবরে বলা হয়, ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) গবেষকরা বলেছেন, আগামী ১৫ আগস্টের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে কোভিড-১৯-এ মৃত্যু এক লাখ ৭৫ হাজার ছাড়িয়ে যাবে।
হাসপাতালে কোভিড রোগীর দীর্ঘ লাইন, পরীক্ষায় বিলম্বসহ নানা জটিলতা দেখে হিউস্টন মেয়র সিলভেস্টার টার্নার এবং লস এঞ্জেলসের মেয়র এরিক গারচেট্টি পরামর্শ দিচ্ছেন, দ্বিতীয়বারের মতো লকডাউনে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়ার এখনই সময়।
দুই মেয়র ছাড়াও সিডিসির দেড়শজন প্রখ্যাত চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ, বিজ্ঞানী, শিক্ষক ও নার্সসহ অন্যান্য বিষয়ে বিশেষজ্ঞের স্বাক্ষরিত একটি চিঠি ট্রাম্প প্রশাসন বরাবর পাঠানো হয়েছে। ওই চিঠিতে গোটা দেশ শাটডাউন করার কথা বলা হয়।
ওই চিঠিতে আরো বলা হয়, ‘আগামী ১ নভেম্বর নাগাদ করোনায় দুই লাখ আমেরিকানের মৃত্যু দেখতে যাচ্ছি। অনেক অঙ্গরাজ্যেই রেস্তোরাঁ, বার, সেলুন এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় নয় এমন কাজকর্ম চলছে স্বাভাবিক নিয়মে। এতে করোনায় আক্রান্তের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রে সর্বাধিক করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু হওয়া ক্যালিফোর্নিয়ায় গত শুক্রবার ১৫৯ জনের মৃত্যুর কথা জানানো হয়। করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত একদিনে মৃত্যুর বিবেচনায় সেখানে এটিই সর্বোচ্চ। সেখানকার অর্ধেক মৃত্যুই ঘটেছে লস এঞ্জেলসে। এ পর্যন্ত চার হাজার ২৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে লস এঞ্জেলসে। ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে চার লাখ ৪৬ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে বলে জানায় জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়।
গোটা যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৪৩ লাখ ৭১ হাজারের বেশি কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছে এক লাখ ৪৯ হাজারের বেশি মানুষ। আর সুস্থ হতে পেরেছে ২০ লাখ ৯০ হাজারের বেশি মানুষ। বিশ্বখ্যাত পরিসংখ্যান সাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার এসব তথ্য দিয়েছে।