গ্রিস ও মাল্টার মাঝে সমুদ্রে ভাসছে ৪০০ অভিবাসন প্রত্যাশী
গ্রিস ও মাল্টার মাঝে ভূমধ্যসাগরে একটি নৌযানে ভাসছে প্রায় ৪০০ অভিবাসন প্রত্যাশী। ইতোমধ্যে পানি ওঠে গেছে নৌযানটিতে। গতকাল রোববার দাতব্য সংস্থা ‘অ্যালার্ম ফোন’ এ তথ্য জানিয়েছে। নৌযানে থাকা অভিবাসন প্রত্যাশীদের সুপেয় পানি ও বিভিন্ন সহযোগিতা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা। খবর রয়টার্সের।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে এক পোস্টে অ্যালার্ম ফোন লেখে, ‘সমুদ্রে ভাসতে থাকা নৌযানটি থেকে একটি কল পাওয়া গেছে। নৌযানটি লিবিয়ার তুরবক থেকে ছেড়ে এসেছিল। ইতোমধ্যে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। কিন্তু, কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান শুরু করেনি।’
বর্তমানে নৌযানটি মাল্টার অনুসন্ধান ও উদ্ধার এলাকায় (এসএআর) রয়েছে বলে জানিয়েছে অ্যালার্ম ফোন।
জার্মানির এনজিও সি-ওয়াচ ইন্টারন্যাশনাল এক টুইট বার্তায় বলছে, অভিবাসন প্রত্যাশীদের নৌযানটিকে খুঁজে পাওয়া গেছে। নৌযানটির কাছাকাছি এলাকায় পণ্যবাহী দুটি জাহাজ রয়েছে।
টুইট পোস্টে সি-ওয়াচ ইন্টারন্যাশনাল আরও জানায়, মাল্টা কর্তৃপক্ষ এই পণ্যবাহী জাহাজ দুটিকে উদ্ধারকাজ না করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে। তবে, একটি পণ্যবাহী জাহাজকে জ্বালানি সরবরাহ করতে নির্দেশনা দিয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে মাল্টা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি রয়টার্স।
অ্যালার্ম ফোন বলছে, অভিবাসন প্রত্যাশীদের নৌযানটিতে থাকা লোকজন দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। সেখানে অনেকের জরুরি চিকিৎসা দরকার। নৌযানটির জ্বালানিও শেষ হয়ে গেছে। এটির নিচের ডেক পানিতে পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। নৌযানটির চালক পালিয়ে গেছে। নৌযানটি চালাতে পারবে এমন কোনো ব্যক্তি সেখানে নেই।
এদিকে, রোববার দিনগত রাতে ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবির ঘটনায় ২৩ অভিবাসন প্রত্যাশী মারা গেছে বলে জানিয়েছে জার্মানভিত্তিক এনজিও রেসকিউশিপ। এক টুইট পোস্টে এনজিওটি জানায়, উদ্ধার অভিযান চালিয়ে ২৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
গত সপ্তাহে ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস (এমএসএফ) মাল্টা উপকূল থেকে ৪৪০ জন অভিবাসন প্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছিল। আর গত শনিবার তিউনিসিয়া উপকূলে দুটি নৌকাডুবির ঘটনায় ২৩ অভিবাসন প্রত্যাশী মারা গেছেন।