চীনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তাইওয়ানে পেলোসি
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2022/08/02/palosi_0.jpg)
চীনের কড়া হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে তাইওয়ানে পৌঁছেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। আজ মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ১১টায় তিনি তাইওয়ানের রাজধানী তাইপে বিমানবন্দরে তাঁকে বহনকারী উড়োজাহাজ অবতরণ করে। বাংলাদেশ সময় রাত ৯টার কিছুক্ষণ আগে বিবিসি এ খবর প্রকাশ করে।
পেলোসির সফর নিয়ে চীনের সঙ্গে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মাঝে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের পূর্বাঞ্চলীয় জলরাশিতে যুদ্ধবিমানবাহী জাহাজসহ চারটি রণতরী মোতায়েন করেছে। মার্কিন নৌবাহিনী অবশ্য একে নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। অন্যদিকে চীন তাইওয়ানের আকাশসীমা অতিক্রম করে যুদ্ধজাহাজ উড়িয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে।
তাইপেতে নেমেই টুইটে ন্যান্সি পেলোসি বলেন, তাঁর বহরের এই সফর তাইওয়ানের সক্রিয় গণতন্ত্রের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের অকুণ্ঠ সমর্থনের প্রতি সম্মান স্বরূপ। তাইওয়ানের দুই কোটি ৩০ লাখ মানুষের পাশে যুক্তরাষ্ট্রের আজকের অবস্থান আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘ দিনের নীতির সঙ্গে এটি কোনোভাবেই সাংঘর্ষিকও নয়।
আগামীকাল বুধবার সকালে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনের সঙ্গে বৈঠক করবেন এবং মধ্যাহ্নভোজের পর তাইপে ছাড়বেন পেলোসি। তাইওয়ানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা এ তথ্য জানিয়েছে।
চীন পেলোসির এ সফরের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ সফরকে এক-চীন নীতির শর্তে মারাত্মক আঘাত হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। চীন-মার্কিন সম্পর্কে এর চরম নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলেও এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে তাইওয়ান কার্ড না খেলার আহ্বান জানানো হয়।
তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই সফরের মধ্য দিয়ে তাইওয়ান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার কাজ তরান্বিত হবে বলে আশা করছে তাইওয়ান।
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/very_big_1/public/images/2022/08/02/pelosi.jpg)
১৯৯৭ সালের পর এটিই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ের নেতার তাইওয়ান সফর। পেলোসির ৩৫ বছরের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে তাঁকে সবসময়ই চীনের কট্টর সমালোচক হিসেবেই দেখা গেছে।
চীন তাইওয়ানকে তার নিজের বিচ্ছিন্ন প্রদেশ মনে করে; কোনো একদিন প্রদেশটি মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে একত্রিত হবে বলেও মনে করে চীনা শাসকশ্রেণি।