চীনের কসাইখানা থেকে ১৫০টি বিড়াল উদ্ধার
চীনের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ শ্যানডংয়ের জিনান শহরের একটি কসাইখানা থেকে প্রায় দেড়শ বিড়াল উদ্ধার করেছে পুলিশ। চীনভিত্তিক প্রাণীকল্যাণ সংস্থা হিউম্যানে সোসাইটি ইন্টারন্যাশনালের (এইচএসআই) অনুরোধে এই অভিযান পরিচালনা করেছিল পুলিশ। খবর ফ্রান্স২৪-এর।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এইচএসআই জানিয়েছে, বাসা-বাড়িতে যেসব বিড়াল দেখা যায়, উদ্ধারকৃত বিড়ালগুলোও সেই একই জাতের; তবে বেওয়াড়িশ। বর্তমানে স্থানীয় প্রাণী আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হয়েছে এসব বিড়ালকে।
এইচএসআইয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিড়ালগুলোকে ধরতে রিমোট কন্ট্রোল নিয়ন্ত্রিত বৈদ্যুতিক খাঁচা ব্যবহার করেছে শিকারিরা। আর এক্ষেত্রে টোপ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে জীবন্ত চড়ুই পাখি।
এইচএসআইয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গত কয়েকদিন ধরে এসব বিড়াল ধরা হয়েছে। ধরার পর তাদের ঠিকমতো খেতে দেওয়া হয়নি। কসাইখানা থেকে যখন উদ্ধার করা হয়, অধিকাংশ বিড়াল ছিল দুর্বল এবং ক্ষুধার যন্ত্রণায় কাঁদছিল তারা।’
‘দৃশ্যটি ছিল খুবই বেদনাদায়ক। ওই কসাইখানা থেকে বেশ কিছু জীবন্ত চড়ুই পাখিও উদ্ধার করা হয়েছে এবং তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’
চীনে কুকুর-বিড়ালের মাংস বেশ দামী ও জনপ্রিয়। এইচএসআইয়ের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর চীনে খাওয়ার উদ্দেশে প্রায় ১ কোটি কুকুর ও ৪০ লাখ বিড়াল হত্যা করা হয়।
পুরো চীনেই বিড়াল ও কুকুরের মাংস খাওয়া হলেও এই দুই প্রানীর মাংস সবচেয়ে জনপ্রিয় দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় দুই প্রদেশ গুয়াংডং ও গুয়াংশিতে। এই দুই প্রদেশ ইতোমধ্যে কুকুর-বিড়ালের মাংসের ‘হটস্পট’ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। প্রতি বছর চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর ইউলিনে আয়োজন করা হয় ‘ডগে মিট ফেস্টিভ্যাল’। দশদিন ধরে চলা এই উৎসবে খাওয়ার উদ্দেশে হত্যা করা হয় হাজার হাজার কুকুর-বিড়াল।
দেশটিতে পশু-পাখির প্রতি নিষ্ঠুরতা প্রতিরোধে কোনো আইন নেই। তাই উদ্ধারকৃত এই দেড়শ বিড়াল ‘শিকারে’ যারা অভিযুক্ত, তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার সুযোগ নেই কারোর।
তবে পাখি শিকার, সম্পত্তি চুরি ও করোনা মহামারি রোধে পশু-পাখি হত্যা ও মাংস বিক্রি সম্পর্কিত যে নতুন নীতি দেশটির সরকার নিয়েছে, সে নীতি না মানায় অভিযুক্তদের জরিমানা দিতে হতে পারে।