চীনে বিধ্বস্ত উড়োজাহাজের কারও বেঁচে ফেরার সম্ভাবনা নেই
চীনের রাষ্ট্রীয় ইস্টার্ন এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজ ১৩২ আরোহী নিয়ে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে বিধ্বস্ত হয়েছে। সোমবার চীনের গুয়াংঝি অঞ্চলের উঝৌয়ের পাহাড়ি এলাকায় উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়। সেটির ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। উদ্ধারকারীরা বলছেন, উড়োজাহাজের আরোহীদের কারও বেঁচে থাকার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
উড়োজাহাজটি ১২৩ যাত্রী ও ৯ জন ক্রু নিয়ে সোমবার স্থানীয় সময় বেলা ১টা ১১ মিনিটে চীনের ইউনান প্রদেশের কুনমিং শহর ছেড়ে যায়। বেলা ৩টা ৫ মিনিটে সেটি হংকংয়ের সীমান্তবর্তী গুয়াংডং প্রদেশের গুয়াংজু শহরে অবতরণের কথা ছিল।
বাণিজ্যিক ফ্লাইটের তথ্য সরবরাহকারী সুইডেনভিত্তিক ওয়েবসাইট ফ্লাইটরাডার-২৪-এর তথ্য অনুযায়ী, বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের উড়োজাহাজটি ছয় বছরের পুরোনো। কুনমিং ছেড়ে যাওয়ার পর সেটি ২৯ হাজার ১০০ ফুট উচ্চতায় উড়ছিল। এর মাত্র দুই মিনিট ১৫ সেকেন্ড পরই সেটি ৯ হাজার ৭৫ ফুট উচ্চতায় নেমে আসে। আরও ২০ সেকেন্ড পর উড়োজাহাজটি নেমে আসে ৩ হাজার ২২৫ ফুটে। এরপর সেটির অবস্থান শনাক্ত করা যায়নি।
উদ্ধারকারী এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে চীনের কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, উড়োজাহাজটি বিধ্বস্তের পর গাছপালায় আগুন ধরে যায়। আঞ্চলিক ফায়ার সার্ভিস বিভাগের বরাত দিয়ে চীনা সংবাদমাধ্যম পিপলস ডেইলি জানিয়েছে, ধ্বংসস্তূপের মধ্যে জীবিত কাউকে পাওয়া যায়নি।
উড়োজাহাজের আরোহীদের স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য একটি হটলাইন চালু করেছে ইস্টার্ন এয়ারলাইনস। দুর্ঘটনার কারণ জানা যায়নি বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে তারা।
নিরাপত্তার দিক দিয়ে চীনের এয়ারলাইনসগুলোর সুনাম রয়েছে। সর্বশেষ বড় দুর্ঘটনা ঘটেছিল ১২ বছর আগে।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং দ্রুত তদন্ত করে এই দুর্ঘটনার কারণ বের করার নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে উড়োজাহাজ চলাচলে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলেছেন তিনি।
দুর্ঘটনার কবলে পড়া উড়োজাহাজটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে উড়োজাহাজটি বিধ্বস্তের খবর তাদের নজরে এসেছে। এ–সংক্রান্ত আরও তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চলছে।