চীনে লোডশেডিংয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2022/08/18/xym5cnmpa5ivpo2xu3e2wmeaqu.jpg)
মারাত্মক খরার কবলে পড়েছে চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমের সিচুয়ান প্রদেশ, চলছে তীব্র দাবদাহ। তার মধ্যে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে সেখানকার জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, প্রায় ৫৪ লাখ বাসিন্দার নগরী দাঝৌয়ে দিনে অন্তত তিন ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না।
জরুরি ব্যবস্থা হিসেবে বসতবাড়িতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সেখানকার কারখানাগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে দেওয়া তারা উৎপাদন হ্রাস করতে বা কাজ বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছে।
জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে পানি বর্তমানে স্বাভাবিকের চেয়ে অর্ধেকের নিচে নেমে গেছে বলে জানান কর্মকর্তারা।
সিচুয়ান প্রদেশ এবং এর আশেপাশের এলাকায় গত কয়েকদিন তাপমাত্র ৪০ ডিগ্রি বা তার বেশি উঠেছে। যার ফলে অফিস-আদালত ও বসতবাড়িতে বিদ্যুতের চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে। যা মেটাতে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী কোম্পানিগুলোকে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/infograph/public/images/2022/08/18/capture_0.jpg 687w)
এশিয়ার সবচেয়ে দীর্ঘ নদী ইয়াংজিতে পনিপ্রবাহ রেকর্ড মাত্রায় কমে গেছে বলেও জানান কর্মকর্তারা। এজন্য দায়ী খরা বা বৃষ্টিপাত কম হওয়া। এ বছর কোথায় কোথায় স্বাভাবিকের তুলনায় অর্ধেকের কম বৃষ্টিপাত হয়েছে।
বিবিসি জানায়, হুবেই প্রদেশের উহান নগরীতে ইয়াংজি নদীর পানি ১৮৬৫ সালের পর সবচেয়ে বেশি শুকিয়ে গেছে।
যদিও এখনও লাখো মানুষের পানি পান এবং গৃহস্থালী কাজে ব্যবহারের জন্য পানি সরবরাহ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হয়নি। কিন্তু এরই মধ্যে চাষাবাদের কাজে পানি স্বল্পতা দেখা দিয়েছে। ফসল উৎপাদন ঠিক রাখতে সরকার থেকে পাম্প এবং ক্লাউড সিডিং রকেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে।