চুরির কারণে ইথিওপিয়ায় সহায়তা বন্ধের ঘোষণা ডব্লিউএফপির
ইথিওপিয়ার যুদ্ধ বিধ্বস্ত তাইগ্রে অঞ্চলে খাদ্য সহায়তা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে জাতিসংঘের সহযোগী সংস্থা বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)। সহায়তার খাদ্য বিতরণ না করে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে এই কারণ দেখিয়েই সহায়তা বন্ধের এই ঘোষণা দিয়েছে তারা। এক প্রতিবেদনে খাদ্য সরিয়ে ফেলার তথ্য উঠে আসার পরই এমনটি করা হয়েছে। খবর রয়টার্সের।
এর আগে তাইগ্রে অঞ্চলে খাদ্য সহায়তা বন্ধের ঘোষণা দেয় ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি)। গত বৃহস্পতিবার এই ঘোষণা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থাটি। তারা বলেছিল, সহায়তার খাদ্য প্রয়োজনীয় মানুষকে না দিয়ে সরিয়ে ফেলা হচ্ছে এবং বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে।
তবে, কোন প্রতিবেদনের পর এমনটি করেছে সংস্থা দুটি তা জানায়নি তারা। এমনকি খাদ্য সরিয়ে ফেলা বা চুরির জন্য কে বা কারা দায়ী অথবা কখন এটি ঘটেছে সে সম্পর্কেও কোনো বিশদ বিবরণ দেয়নি ডব্লিউএফপি।
গত বুধবার শেষ সময়ে এক বিবৃতিতে ডব্লিউএফপি বলে, ‘আমাদের অংশীদারদের আবারও জানাচ্ছি যে, অবৈধ তৎপরতার বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করে প্রতিবেদন দিতে হবে এবং সহায়তা বন্ধের এই ব্যবস্থার প্রতি তারা সম্মতি জানিয়েছে।’
এদিকে, সহায়তা বন্ধের ঘোষণায় হতাশা ব্যক্ত করেছে তাইগ্রে অঞ্চলের অন্তর্বর্তীকালীন গভর্নর গেটাচিউ রেডা। সহায়তা পুনরায় দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘বন্ধের এই ঘোষণা আমাদের ওইসব মানুষদের কষ্ট দিবে, যারা কি না চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে।’
চুরির ঘটনায় তদন্তের জন্য একটি টাস্ক ফোর্স গঠনের কথা জানিয়ে রেডা বলেন, ‘চুরির ওই প্রতিবেদনটি আমাদের শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধীদের বিরুদ্ধে হওয়া একটি ক্রাইম।’
বিষয়টি নিয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি ইথিওপিয়ার ফেডারেল সরকার।
তাইগ্রে অঞ্চলে ২০২০ সালের নভেম্বরে শুরু হওয়া সংঘাত শেষ হয় দুই বছরের মাথায়। ইথিওপিয়ার ফেডারেল সরকার ও অঞ্চলটির আঞ্চলিক বাহিনীগুলোর মধ্যে এই সংঘাত শুরু হয়। পরে, এই সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে অন্যান্য অঞ্চল ও প্রতিবেশী ইরিত্রিয়ার বাহিনীগুলো। এই সংঘাতে ১০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়। বাস্তুচ্যুত হয় কয়েক লাখ লোক। এমনকি অঞ্চলটিতে দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।