গাজার দোকানগুলোতে খাদ্য মজুত আছে চার-পাঁচ দিনের : ডব্লিউএফপি
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় খাদ্য পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। দোকানগুলোতে মাত্র চার-পাঁচ দিনের মজুত অবশিষ্ট রয়েছে। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে ফরাসি সংবাদ সংস্থা এএফপি।
ডব্লিউএফপি জানিয়েছে, ফিলিস্তিনের ছিটমহলের গুদামগুলোতে ক্রমান্বয়ে মজুদ কমে যাচ্ছে। দোকান পর্যায়ে এই পরিস্থিতি আরও খারাপ। জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে কাইরো থেকে ভার্চুয়ালিভাবে যুক্ত হয়ে ডব্লিউএফপির মধ্যপ্রাচ্যের মুখপাত্র আবের ইতেফা বলেন, প্রতি মিনিটেই গাজার পরিস্থিতি আগের তুলনায় খারাপ হচ্ছে; মানবিক পরিস্থিতিই কিন্তু খাদ্য নিরাপত্তা পরিস্থিতি।’
ডব্লিউএফপির এই মুখপাত্র বলেন, ‘পাইকারী পর্যায়ে বর্তমানে যতটুকু প্রয়োজনীয় খাদ্য মজুত রয়েছে তা দিয়ে দুই সপ্তাহের মতো চলবে।’ গাজা উপত্যকার উত্তরে পাইকারি পর্যায়ের গুদামগুলো অবস্থিত জানিয়ে আবের ইতেফা বলেন, ‘উত্তরাঞ্চল থেকে অন্যসব এলাকায় খাদ্য সরবরাহ করা যাচ্ছে না। খুচরা পর্যায়ের দোকানগুলোতে মাত্র চার বা পাঁচ দিনের খাদ্য মজুত রয়েছে।’
গত ৭ অক্টোবর সকালে আকস্মিকভাবে ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। তাদের হামলায় এ পর্যন্ত ইসরায়েলে এক হাজার ৪০০ এর বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। যার মধ্যে বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।
হামলার জবাবে গাজা উপত্যকা ও পশ্চিম তীরে একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজার সীমান্তে স্থল অভিযান চালানোর জন্য ১০ হাজারের বেশি সৈন্য মোতায়েন করেছে ইসরায়েল। গাজার উত্তরাঞ্চলে থাকা বাসিন্দাদের দ্রুত সময়ের মধ্যে দক্ষিণে চলে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আবের ইতেফা বলেন, ‘গাজা উপত্যকায় থাকা পাঁচটি ময়দা মিলের মধ্যে শুধুমাত্র একটিই চালু রয়েছে। নিরাপত্তা উদ্বেগ ও জ্বালানি সংকট নিয়েই মিলটি চালু রয়েছে। এর ফলে রুটির সরবরাহ আশঙ্কাজনক হারে কমেছে। রুটির জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছে গাজার বাসিন্দারা।’
ডব্লিউএফপির এই মুখপাত্র আরও বলেন, ‘গাজায় থাকা ২৩টি বেকারির মধ্যে চালু রয়েছে মাত্র পাঁচটি। তবে, ডব্লিউএফপির গুদামগুলোতে কোনো লুটপাটের ঘটনা ঘটেনি। গুদামগুলোতে মজুতের পরিমাণ অতি সামান্য।’