জরুরি প্রয়োজনে ভ্যাকসিন ব্যবহারে অনুমোদন চীনের
ঝুঁকিপূর্ণ পেশার সঙ্গে জড়িত এমন মানুষদের জরুরি প্রয়োজনে করোনার সম্ভাব্য ভ্যাকসিন ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে চীন। এর আগে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে করোনা ভ্যাকসিন অনুমোদন দেয় রাশিয়া, খবর সিএনএনের।
চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের প্রধান ঝেং ঝংওয়ে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, কিছু চিকিৎসাকর্মী, সীমান্ত এলকায় কর্মরত কর্মী এবং যারা খাদ্যের বাজারে কাজ করে তাদের ইমিউনিটি বাড়াতে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছিল।
ঝেং ঝংওয়ে বলেন, গত মাসে করোনার ভ্যাকসিন শুধু জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহার করার অনুমোদন দিয়েছিল বেইজিং। এরপর কার্যক্রম শুরু হয় জুলাই মাসের ২২ তারিখ থেকে। তিনি আরো বলেন, শরৎ ও শীতকালে করোনার প্রাদুর্ভাব রোধে ভ্যাকসিন প্রয়োগের কর্মসূচি আনুপাতিক হারে বাড়ানো হতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বর্তমানে সারা বিশ্বে কার্যকর এবং নিরাপদ ভ্যাকসিন তৈরির জন্য ১৭০টি দেশে পৃথক চেষ্টা চলছে। তবে এখনো কোনো ভ্যাকসিনকে অনুমোদন দেয়নি সংস্থাটি। ইংল্যান্ডের চিফ মেডিক্যাল অফিসার প্রফেসর ক্রিস হুইটি বলেন, ২০২১ সালের শীতকালের আগে ব্যাপকভাবে করোনাভাইরাসের কোনো ভ্যাকসিন পাওয়া সম্ভব নয়।
চলতি বছরের জুলাই থেকে চীন সরকার যে ‘জরুরি’ ভ্যাকসিন ব্যবহার করছে, তা ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের বাইরে। এটি দেশটির প্রথম ভ্যাকসিন বলে জানা গেছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে।