জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা কার্যক্রম নিয়ে বাড়িয়ে বলছে বড় বড় কোম্পানি
গুগল, অ্যামাজন, আইকিয়া, অ্যাপল বো নেসলে’র মতো বিশ্বের বড় বড় কোম্পানিগুলো জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে নিজেদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হচ্ছে। পঁচিশটি কোম্পানি নিয়ে করা এক গবেষণায় এ কথা বলা হয়েছে। সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নিউ ক্লাইমেট ইনস্টিটিউট’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিয়মিতই এসব কোম্পানি নিজেদের নেওয়া পদক্ষেপ এবং এর অগ্রগতি নিয়ে বাড়িয়ে বলে আসছে।
পরিবেশ বিপর্যয়ে প্রভাব কমাতে বড় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো বেশ চাপে রয়েছে। ভোক্তারাও পরিবেশবান্ধব পণ্য চান।
কিছু কোম্পানি অবশ্য নিউ ক্লাইমেট ইনস্টিটিউটের গবেষণা প্রতিবেদন নিয়ে বিবিসিকে বলেছে, প্রতিবেদনটিতে যে পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে, তা নিয়ে তাঁদের দ্বিমত রয়েছে।
নিউ ক্লাইমেট ইনস্টিটিউটের রিপোর্ট বলছে, বিশ্বের মোট গ্রিনহাউস-গ্যাস নির্গমণের পাঁচ শতাংশের জন্য দায়ী ২৫টি কোম্পানি।
গবেষণা প্রতিবেদনটির লেখক থমাস ডে বিবিসিকে বলেন, তাঁর গবেষকদলের সদস্যেরা করপোরেট বিশ্বে মূলত ভালো চর্চার তথ্য পাওয়ার আশায় ছিলেন।
‘কিন্তু সত্যি বলতে, কোম্পানিগুলো আমাদের হতাশ করেছে। এরা যেমনটি দাবি করে, তার সঙ্গে তাদের কাজের পরিধি অবাক করার মতো,’ বলেন থমাস ডে।
কোম্পানিগুলো নিজেরাই নিজেদের কার্বন-নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল। যেমন—গুগল ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন-নিঃসরণমুক্ত কোম্পানি হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
পণ্য পরিবহণ এবং দোকান ও কারখানায় জ্বালানি ব্যবহারের মাধ্যমে কার্বন-নিঃসরণ করে এসব বড় বড় কোম্পানি। এ ছাড়া ফসল ও গাছ কাটার হিসাবও বিবেচনা করা হয়।
মায়ের্স্ক, অ্যাপল, সনি, ভোডাফোন, অ্যামাজন, ডয়চে টেলিকম, ইনেল, গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন, গুগল, হিটাচি, আইকিয়া, ভেল, ভক্সওয়াগন, ওয়ালমার্ট, অ্যাকসেনচার, বিএমডব্লিউ গ্রুপ, ক্যারেফোর, সিভিএস হেলথ, ডয়েচে পোস্ট ডিএইচএল, ই.অন এসই, জেবিএস, নেসলে, নোভার্টিস, সেইন্ট-গোবাইন ও ইউনিলিভারের কার্বন-নিঃসরণের অগ্রগতি খতিয়ে দেখতে চেয়েছে নিউ ক্লাইমেট ইনস্টিটিউট।