জিনজিয়াংয়ের বাসিন্দাদের কী ওষুধ দিচ্ছে চীন?
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2020/08/31/china-thumb.jpg)
নভেল করোনাভাইরাস বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণা চলছে। সারা পৃথিবীতে ভয়াবহ রূপ ধারণ করে সংক্রমণ ছড়িয়ে চলেছে করোনাভাইরাস। এমন অবস্থায় ভ্যাকসিন আবিষ্কারের আগ পর্যন্ত চলছে নানা ওষুধের ব্যবহার ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা। কিন্তু, ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে যেভাবে নিয়ম মেনে পরীক্ষা চালাচ্ছে চীন, ওষুধ পরীক্ষার ক্ষেত্রে উঠে এলো এর বিপরীত চিত্র।
জিনজিয়াংয়ের উইঘুরসহ সংখ্যালঘু মুসলিম ও অন্য বাসিন্দাদের ওপর এক ধরনের ওষুধ প্রয়োগ করছে চীন, যাতে মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর উপাদান রয়েছে। কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই এই ওষুধ প্রয়োগ করা হচ্ছে জিনজিয়াংয়ে। বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) এমন খবর দিয়েছে।
এ বিষয়ে এপির কাছে মুখ খোলেন জিনজিয়াং প্রদেশের এক নারী। তাঁর দাবি, বিনা কারণেই তাঁকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। বহু কয়েদির সঙ্গে তাঁকে গাদাগাদি করে রাখা হয়েছিল। এবং আটক অবস্থায় তাঁকে একটি তরল পদার্থ খেতে বাধ্য করা হয়েছিল। ৪০ দিনের কোয়ারেন্টিন চলা জিনজিয়াংয়ের সেই নারীর দাবি, ওই তরল পদার্থ খাওয়ার তাঁর শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। পাশাপাশি তাঁর চামড়াও উঠে যেতে থাকে। তরল পদার্থটি ওষুধ নাকি জীবাণুনাশক তা বুঝে উঠতে পারেননি তিনি।
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2020/08/31/china-1.jpg)
এপির খবরে বলা হয়, জিনজিয়াংয়ে ব্যবহৃত ওষুধগুলোর মধ্যে ‘কিংফেই পাইডু’ নামের ওষুধটিতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যেগুলো জার্মানি, সুইজারল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ। এর বিষাক্ততার মাত্রা অনেক বেশি এবং এতে ক্যানসার সৃষ্টিকারী উপাদান কারসিনোজেন রয়েছে।
গত জুলাইয়ের মাঝমাঝি সময় থেকে জিনজিয়াংয়ে ৮২৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ৪৫ দিন ধরে সেখানে কঠোর লকডাউন চলছে। গত এক সপ্তাহে সেখানে স্থানীয়ভাবে করোনার কোনো নতুন রোগী পাওয়া যায়নি। তবুও কড়াকড়ি শিথিল করতে নারাজ জিনজিয়াং প্রশাসন।
বেইজিং বলছে, গত জুলাই থেকে বেশ কয়েকজনকে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে চীনে একাধিক গবেষণাগারে কোভিড-১৯-এর ভ্যাকসিন তৈরির কাজ চলছে। কাদের দেওয়া হচ্ছে এই ভ্যাকসিন? এ বিষয়ে চীনের ন্যাশনাল হেলথ কমিশন সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি সেন্টারের প্রধান জেং জংইউ জানান, স্বাস্থ্যকর্মী, সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ জরুরি ক্ষেত্রে কর্মরত লোকজনের অনেককেই কোভিড-১৯-এর ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য সেই ভ্যাকসিন ব্যবহার করা হচ্ছে।