ট্রাম্পকে দেওয়া অ্যান্টিবডি থেরাপির জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন
যুক্তরাষ্ট্রে করোনা চিকিৎসায় জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পেল ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান রিজেনেরন ফার্মাসিউটিক্যালস ইনকরপোরেটেডের অ্যান্টিবডি থেরাপি। রিজেনেরনের থেরাপিটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের করোনা চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়েছিল। এই থেরাপির প্রয়োগ করোনা থেকে সেরে ওঠতে সাহায্য করেছিল বলে জানিয়েছিলেন ট্রাম্প। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা এফডিএ গতকাল শনিবার রিজেনেরনের কোভিড-১৯ অ্যান্টিবডি থেরাপির জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয়। তবে সবার ক্ষেত্রে থেরাপিটি প্রয়োগ করা যাবে না। করোনা পজিটিভ ১২ বছর বয়সী শিশু ও তদূর্ধ্ব ব্যক্তি, যাদের শারীরিক অবস্থা গুরুতর হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে, কেবল তাদের ক্ষেত্রেই রিজেনেরনের অ্যান্টিবডি থেরাপি ব্যবহার করা যাবে। ক্যাসিরিভিম্যাব ও ইমডেভিম্যাব নামের দুটি অ্যান্টিবডির সমন্বয়ে রিজেনেরনের থেরাপিটি তৈরি করা হয়েছে।
এফডিএ জানিয়েছে, হাসপাতালে ভর্তি হওয়া করোনা রোগী— যাদের অক্সিজেন থেরাপি দিতে হচ্ছে—তাদের ক্ষেত্রে অ্যান্টিবডি থেরাপিটি ব্যবহার করা যাবে না। কেননা, এসব রোগীর ওপর থেরাপিটি প্রয়োগ করে আশাব্যঞ্জক ফল পাওয়া যায়নি।
সংবাদমাধ্যম দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনার প্রতিষেধক নিয়ে যতটা মাতামাতি হয়, করোনার চিকিসায় অ্যান্টিবডি থেরাপি নিয়ে ততটা হয় না। কিন্তু স্বাস্থ্য সেবা সংশ্লিষ্টরা বরাবরই বলে আসছেন যে যতদিন না পর্যন্ত বৃহত্তর পরিসরে করোনার ভ্যাকসিন পাওয়া যাচ্ছে, ততদিন অ্যান্টিবডি থেরাপি হতে পারে করোনা চিকিৎসার সম্ভাব্য আশার আলো।