ট্রাম্পের অভিশংসনের দিকে চোখ ডেমোক্র্যাটদের
বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দ্বিতীয়বারের অভিশংসিত করার বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা শুরু করেছে মার্কিন কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাটরা। নির্বাচনে জালিয়াতি হওয়াই কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটলে হামলায় প্ররোচিত করার পেছনে দায়ী—ট্রাম্পের এমন অসত্য দাবির দুদিনের মাথায় আজ শুক্রবার থেকে ট্রাম্পের অভিশংসনের প্রক্রিয়া শুরু করার কথা ভাবছে ডেমোক্র্যাটরা। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
বিদায়ী ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স ও ট্রাম্পের মন্ত্রিসভা যদি ট্রাম্পকে ক্ষমতা থেকে সরাতে পদক্ষেপ নিতে অস্বীকৃতি জানায়, তাহলে অভিশংসনের প্রক্রিয়া তাৎক্ষণিক শুরু করার আহ্বান জানিয়েছেন হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি এবং সিনেটের সংখ্যালঘিষ্ট নেতা চাক শুমারসহ ডেমোক্র্যাট নেতারা।
ট্রাম্প ‘বিদ্রোহ’ উসকে দিয়েছেন অভিযোগ করে এক বিবৃতিতে স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ডেমোক্রেটিক নেতারা বলেন, ‘প্রেসিডেন্টের বিপজ্জনক ও দ্রোহমূলক কর্মকাণ্ডের কারণে তাঁকে ক্ষমতা থেকে তাৎক্ষণিক অপসারণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।’
তবে, ট্রাম্প সরকারের মেয়াদ আর দুই সপ্তাহেরও কম হওয়ায়, অভিশংসনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য যথেষ্ট সময় পাওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে।
হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা না করলেও, এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন যে তাঁর নির্বাচনি এলাকার ডেমোক্র্যাট সদস্যরা গত বুধবার ক্যাপিটল দখলের ঘটনায় দলের পদক্ষেপ দেখতে চান।
যদি ট্রাম্প কংগ্রেসের নিম্নকক্ষে অভিশংসিত হন, তাহলে নিয়ম অনুযায়ী তাঁকে রিপাবলিকান-নিয়ন্ত্রিত সিনেটে বিচারের মুখে পড়তে হবে। এদিকে হাউসে ট্রাম্প অভিশংসিত হলে কী পদক্ষেপ নেবেন, সে বিষয়ে সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলীয় নেতা মিচেল ম্যাকোনেলের পক্ষ থেকে এখনো কিছু জানা যায়নি।
এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রতিদ্বন্দ্বী তৎকালীন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট (নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট) জো বাইডেন ও তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকির ওপর চাপ প্রয়োগ করার জেরে ডেমোক্র্যাট অধ্যুষিত হাউসে অভিশংসিত হন ট্রাম্প। কিন্তু, রিপাবলিকান অধ্যুষিত সিনেটে দায়মুক্তি পান তিনি।
জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যে দুটি সিনেট আসনের পুনর্নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর ডেমোক্র্যাটরা সিনেটের নিয়ন্ত্রণ নিতে যাচ্ছে। তবে নতুন সিনেটর জন ওসফ ও রাফায়েল ওয়ারনক অঙ্গরাজ্যের আনুষ্ঠানিক অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত শপথ নিতে পারবেন না। আগামী ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত অঙ্গরাজ্যের অনুমোদনের দিন নির্ধারণ করা আছে। তবে, এই তারিখ এগিয়ে আসতে পারে।