দাবানলে পুড়ছে গ্রিসের ইভিয়া দ্বীপ, চলছে উদ্ধার অভিযান
গ্রিসের রাজধানী এথেন্সের কাছে একটি দ্বীপ ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে। আগুনে পুড়ছে দ্বীপটির গাছপালা, ঘরবাড়ি ও ফসলের মাঠ। দেশটির অন্য স্থানগুলোর সঙ্গে দ্বীপের সড়ক যোগাযোগ না থাকায় জরুরি ভিত্তিতে শতশত মানুষকে নৌকায় করে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
আজ শুক্রবার দাবানলের চতুর্থ দিনে প্রবল বাতাস ও তীব্র তাপমাত্রার পূর্বাভাসের পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। খবর রয়টার্সের।
একজন কোস্ট গার্ড কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইভিয়া নামের ওই দ্বীপ থেকে অবরুদ্ধ বাসিন্দাদের ছোট ছোট নৌকায় করে উপকূল রক্ষীদের জাহাজে নেওয়া হচ্ছে। জাহাজে করে তাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হবে।
তিনটি সমুদ্র সৈকত থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার শেষ রাতে ৬৩১ জনকে সরিয়ে নেওয়া হয়। জরুরি অবস্থায় সমুদ্রে নৌ টহল অব্যাহত রয়েছে।
গত মঙ্গলবার ইভিয়া দ্বীপের পাইন বনের বিস্তীর্ণ এলাকায় শুরু হয় এ দাবানল। যেটি সমুদ্রের কিনারে পৌঁছে গেছে। দাবানলের ঘন ধোঁয়ায় এথেন্সের আকাশ আবারও ঘন ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে।
সপ্তাহের প্রথম দিকে দাবানল কিছুটা স্তিমিত হলেও গতকাল বৃহস্পতিবার আবারও তা ছড়িয়ে পড়ে। এথেন্সের সঙ্গে উত্তর গ্রিসের সংযুক্তকারী প্রধান মহাসড়কের চারপাশে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। আগুন নেভানোর চেষ্টায় শত শত অগ্নিনির্বাপক জলবোমা নিক্ষেপ করা হচ্ছে।
পুরো সপ্তাহ জুড়ে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে ছিল। তবে শুক্রবার সকালে ঝড়-বৃষ্টির কারণে আগুন আরো ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা কিছুটা হলেও কমেছে।
এদিকে দাবানলে আহত অন্তত ৯ জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিতসোটাকিস বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট তীব্র আবহাওয়ার জন্য গ্রিসকে প্রস্তুতি জোরদার করতে হবে।
এদিকে গ্রিসের প্রতিবেশী তুরস্কও এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে দাবানলের সঙ্গে লড়াই করছে।